২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও কয়েকটি বিষয়ে উদ্বেগ আছে বলে জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। যে কারণে ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে প্রতিকূলতা সৃষ্টি হতে পারে এবং সৎ করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (২ জুন) রাতে বাজেট পর্যালোচনা-পরবর্তী পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব আশঙ্কার কথা জানায় এফআইসিসিআই।
এফআইসিসিআই জানায়, প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয় আছে। কিছু পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির জন্য অতিরিক্ত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব উদ্বেগজনক। বর্ধিত হারে এই কর বৈষম্যমূলক হবে। এ ছাড়া ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য কর হ্রাসের যে সুবিধা ছিল, তাও বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য সংগঠনটি মনে করছে, করের হার সাড়ে ২৭ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জাতীয় প্রচেষ্টার বিপরীত পদক্ষেপ এবং ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো অর্থনীতির তুলনায় বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে। তাদের মতে, আরেকটি হতাশাজনক দিক হলো বেতনভোগী করদাতাদের চাপ বৃদ্ধি। প্রাথমিক স্তরে করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু সামগ্রিক পরিবর্তনের বিবেচনায় প্রবর্তিত পরিবর্তন মধ্যম আয়ের করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা সৃষ্টি করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনলাইন বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, এটি দেশের অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে হুমকির মুখে ফেলবে এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে বাধা সৃষ্টি করবে।
এ ছাড়া বাজেটের ইতিবাচক দিক হিসেবে এফআইসিসিআই জানায়, নির্দিষ্ট খাতের ওপর চাপ কমানো এবং আরও নির্ভরযোগ্য কর ব্যবস্থা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া। নির্মাণ কোম্পানি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে উৎস কর হ্রাস করা বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলো স্বস্তি পাবে। এ ছাড়া যৌথ উদ্যোগ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশে উৎস কর আরোপ না করা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কোম্পানিগুলোর জন্য সুসংবাদ।
মন্তব্য করুন