আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। সংস্থাটির বোর্ড সভায় সোমবার (২৩ জুন) এই অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয় ১২ মে অনুষ্ঠিত ‘স্টাফ লেভেল এগ্রিমেন্ট’-এর আলোচনার ভিত্তিতে। ওই বৈঠকে আইএমএফ বাংলাদেশের অনুরোধে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ে সম্মতি দেয়।
এর আগে তিন কিস্তিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। আর গত ১২ মে সমঝোতার পর আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী ২৩ জুন অর্থ ছাড় করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা আইএমএফের ঋণ ছাড়ের তথ্য পেয়েছি। তাদের চুক্তি অনুযায়ী ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এই সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
তিনি জানান, বৈঠক শেষে আইএমএফ তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক ই-মেইল পাঠাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, আইএমএফ থেকে অর্থ ছাড় নিশ্চিত করতে কিছু সময় লাগে। আগামীকাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ অর্থ ছাড়ের ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। মুখপাত্রের দপ্তর জানায়, সোমবার মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম ৬ অনুযায়ী ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এখন নতুন ঋণ যোগ হলে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে ২৮ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
জানা গেছে, জুন মাসের জন্য নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (NIR) লক্ষ্যমাত্রা আইএমএফ নির্ধারণ করেছিল ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। তবে সেটি অর্জন কঠিন বিবেচনায় সরকার গত ১২ মে লক্ষ্যমান পরিবর্তনের প্রস্তাব দেয় এবং ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে রাখার অনুমতি পায়।
বর্তমানে এনআইআর হিসেবে রিজার্ভ রয়েছে প্রায় ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের ঋণের অর্থ যোগ হলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের মতো। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এটি রিভাইজড লক্ষ্য পূরণ করছে।
মন্তব্য করুন