চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) ১১ মাসে (জুলাই-মে) এক হাজার ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বলে সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে মো. মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ ১০টি নাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছে সর্বোচ্চ চার হাজার ৫৪২ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন হাজার ৪৩৮ দশমিক চার মিলিয়ন ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দুই হাজার ৭১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য দুই হাজার ৩৯ দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার, কুয়েত থেকে এক হাজার ৬৮৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার, কাতার থেকে এক হাজার ৩৪৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার, ইতালি থেকে এক হাজার ৫৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া থেকে এক হাজার ২১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, ওমান থেকে ৮৯৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, বাহরাইন থেকে ৫৬৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।
মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশের ওপর ও প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের ওপর আগে থেকেই উৎসে আয়কর ধার্য আছ। তবে এর ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও প্রাইজবন্ড বিক্রি কমেনি। উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
সরকারি দলের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিগত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।
মন্তব্য করুন