কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ব্যবসায়ীর

ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

ব্যবসায়িক অংশীদারদের যোগসাজশে জুলাই গণহত্যার মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পাথর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম।

রোববার (১৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের মিডিয়া রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।

আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার সাবেক ব্যবসায়িক পার্টনার আসাদুল ইসলাম ও আমির হোসেন ষড়যন্ত্র করে আমাকে জুলাই গণহত্যা মামলার আসামি করেছেন। কারণ তারা আমার ১৪ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলার আসামি। অর্থ আত্মসাতের মামলা থেকে বাঁচতে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলা দুটির একটি কদমতলী থানায় অপরটি উত্তরা পশ্চিম থানায় হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিজের কোনোরকম সম্পর্ক না থাকলেও মামলার এজাহারে আমাকে যুবলীগের নেতা উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, এটা ডাহা মিথ্যা। আমাকে যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলো এ ঘটনার তদন্ত চাই। আইন উপদেষ্টা তদন্ত করে মামলা দায়ের করার রহস্য উন্মোচন করবেন, এই দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে গত ২৮ মার্চ জাল-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আগাম জামিন নিতে আসা আসামিদের হামলার শিকার হন রাজধানীর বাড্ডার পাথর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কাছে আবেদন করেন।

আমিনুল ইসলাম সেদিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় গত ৪ মার্চ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিআর মামলা নং-৮৯/২৪ দায়ের করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি বরাবর প্রেরণ করেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, সিআইডি তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র প্রদান করি। এসপি আনিসুল ও এএসপি মো. সালাউদ্দিনসহ তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. আমির হোসাইনের কাছ থেকে অনৈতিক অর্থপ্রাপ্ত হয়ে মামলাটির কোনোরূপ তদন্ত ছাড়াই আমার প্রতিষ্ঠানের দুই জন কর্মকর্তার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় কোনোরূপ জবানবন্দি না নিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬১ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে গত ১৮ আগস্ট দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময়ক্ষেপণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এমন কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য সব পুলিশ কর্মকর্তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বলে মনে করি। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এক নেতাকে ‘সুখবর’ দিল বিএনপি

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরামে সভাপতিত্ব করেন ড. মো. সবুর খান

উচ্ছেদ আশঙ্কায় ৪০০ পরিবার, আশ্রয় রক্ষার দাবি স্থানীয়দের

বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে টিএসসিতে ‘বাউল সন্ধ্যা’

ব্যাংক বন্ধে গ্রাহক তাৎক্ষণিক যত টাকা পাবেন

আমলাতান্ত্রিকতার কারণে শিক্ষকরা অনাহারে জীবন-যাপন করছেন : রিজভী

কখনও এক, কখনও তিন ম্যাচ: এমএলএস প্লে-অফের বিভ্রান্তিকর নিয়মের ব্যাখ্যা

থাইল্যান্ডের ই-ভিসা নিয়ে সতর্কবার্তা

সড়কে লবণ ফেলে, কাফনের কাপড় পরে চাষিদের প্রতিবাদ

হত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁসি

১০

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

১১

বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় মুক্তি পেলেন ৩৫ জন

১২

রান্না শিক্ষার কোর্সে ভিড়, সুযোগ পেতে বসতে হলো পরীক্ষায়

১৩

মাইকেয়ার হেলথ হাসপাতালে মিনিমাল ইনভেসিভ সার্জারির অত্যাধুনিক মেশিন উদ্বোধন

১৪

আবারও কি ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে মেসি?

১৫

নেতানিয়াহুকে থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান এরদোয়ানের

১৬

ছবি আসল নাকি এআই দিয়ে তৈরি, মুহূর্তেই জানবেন যেভাবে 

১৭

ট্রাকচাপায় সড়কেই প্রাণ গেল বাবা-মেয়ের

১৮

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর জামিন নামঞ্জুর

১৯

আইনগত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সুপরিকল্পিত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে : প্রধান বিচারপতি

২০
X