বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে ৩২০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর। অপর দিকে ১৩৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৬৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ। ১৬৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কাতারের দোহা। ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫৪ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি।
এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৪৬ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। ১২৯ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। ১২৪ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে চিনের উহান। ১১৬ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মালায়শিয়ার কুয়ালালামপুর শহর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
মন্তব্য করুন