কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ১০:২৮ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ১০:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আঁখির মৃত্যুর কারণ জানালেন চিকিৎসক

মাহবুবা রহমান আঁখি। ছবি : সংগৃহীত
মাহবুবা রহমান আঁখি। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা এবং কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সন্তান হারানো মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যু ‘অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে’হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোখলেসুর রহমান।

তিনি জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন অর্গান রাখা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তের পূর্ণ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

সোমবার (১৯ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তিনি এ কথা বলেন।

দুপুর সোয়া ২টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত দুই মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ডা. মোখলেসুর রহমান।

এদিকে, মা ও নবজাতকের মরদেহ বুঝে নিতে সকালেই মর্গে হাজির হন স্বজনরা। আঁখির চাচা শফিকুর রহমান মজুমদার জানান, মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গায়নের ডহরা গ্রামে নিয়ে আঁখির বাবার কবরের পাশে তাদের দাফন করা হবে।

এ সময় তারা অভিযুক্ত ডা. সংযুক্তা সাহাসহ এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি হাসপাতালটির লাইসেন্সও বাতিল চান।

অন্তঃসত্ত্বা আঁখি তিন মাস ধরে চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার অধীনে নিয়মিত চেকআপ করাচ্ছিলেন। গত ৯ জুন রাতে ডেলিভারির জন্য ওই চিকিৎসকের অধীনে তাকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সে সময় ড. সংযুক্তা সাহার বদলে উপস্থিত ছিলেন ড. মিলি। তিনি কোনো চেকআপ ছাড়াই তাকে কাটাছেঁড়া করেন।

আঁখির স্বামী সুমনের ভাষ্যমতে, ডেলিভারি করার জন্য তারা পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হতে থাকে এবং রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বের বাচ্চা বের করা হয়। ফলে বাচ্চার হার্টবিট কমে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে নবজাতককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সুমন জানান, এ অবস্থায় তিনি বারবার ড. সংযুক্তার খোঁজ করলে কর্তৃপক্ষ জানায় তিনি দেশের বাইরে আছেন।

সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিসিইউ ও এনআইসিইউ না থাকায় আঁখিকে ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর সেন্ট্রাল হাসপাতাল সুমনকে জানায় তাদের বাচ্চাটি মারা গেছে।

ল্যাবএইডের সিসিইউতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয় আঁখিকে। অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় গত ১২ জুন ৬ চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি মহিউদ্দিন, সম্পাদক মোয়াজ্জেম

গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আ.লীগ : প্রেস উইং

বিবিএসের প্রকল্প সংস্কৃতি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে: টাস্কফোর্স

উত্তরাকে একটি ‘গ্রিন বেল্ট’ অঞ্চলে পরিণত করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক

নীলফামারী জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের ক্রয়প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ: টিআইবি

৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকায় জুলাই ঐক্যের প্রতীকী কফিন ও মশাল মিছিল

দেশ সেরা ১০ ব্যাংক ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান

গোপালগঞ্জের ঘটনায় ফেসবুকে ‘উপহাস’, এএসপি প্রত্যাহার

‘গোপালগঞ্জ থেকে এপিসিতে ওঠানোর দায় আমিসহ কয়েকজনের’

১০

আইডিয়াল স্কুলে গোপালগঞ্জের শিক্ষক বরখাস্ত

১১

রিউমর স্ক্যানার / পুরোনো ভিডিওকে গোপালগঞ্জের বলে প্রচার করলেন জয়

১২

এনসিপির সমাবেশে হামলার নিন্দা / দুষ্কৃতিকারীরা দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করতে চায় : সমমনা জোট

১৩

গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলায় হেফাজতের বিবৃতি

১৪

একযোগে গণঅধিকার পরিষদের ১২ নেতার পদত্যাগ

১৫

‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির ওপর ভর করে ভুল পথে হাঁটছেন’

১৬

ফ্যাসিবাদ রুখতে সরকারকে কঠোর হতে হবে: ইউট্যাব

১৭

সাতক্ষীরায় ‘জুলাই শহীদ দিবস’ কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি সংগঠকরা

১৮

মাছের প্রজেক্টে দফায় দফায় হামলা, ৫ কোটি টাকা ক্ষতি দাবি

১৯

এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না বার্সার

২০
X