কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৩ এএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের ক্রয়প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ: টিআইবি

টিআইবির লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
টিআইবির লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ বানানোর কাজে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে যেভাবে প্রায় ১১১ কোটি টাকার ব্যয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলেছে, যেভাবে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা এড়িয়ে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতির যুক্তিতে কাজ দেওয়া হয়েছে, তা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

বুধবার (১৬ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।

দরপত্র ছাড়া এ ক্রয়প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মারক ও আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়নের ঘটনা তুলে ধরার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অর্থাৎ গণভবনকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করার প্রশংসনীয় উদ্যোগটি এখন প্রশ্নের মুখে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত জরুরি অবস্থা, আকস্মিক দুর্যোগ, বিশেষায়িত কোনো পণ্য বা সেবা বা বিশেষ পরিস্থিতিতে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে সরকারি ক্রয়ের বিধান রয়েছে, যেখানে দ্রুত পণ্য বা সেবা সরবরাহ করা প্রয়োজন হয়।'

সরকারের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, জাদুঘরে রূপান্তরের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এতে তুলে ধরা হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলে টিআইবি বলছে, এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই নেওয়া হয়েছিল এবং ক্রয়নীতি অনুযায়ী উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার জন্য দরপত্র ডাকাসহ যথাযথ নীতি অনুসরণের জন্য সময়ও হাতে ছিল। অথচ প্রায় সাত মাস সময় পার করে নির্ধারিত সময়সীমার তিন সপ্তাহ আগে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি বেছে নিয়ে সরকারি ক্রয় বিধিমালার ৭৬(১) ও ৭৬(২) ধারাকে পাশ কাটানো হয়েছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রক্রিয়াটি কোনো বিশেষায়িত ক্রয় নয়। এ প্রকল্পে বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক (ইএম) এবং পূর্ত খাতের প্রায় ১১১ কোটি টাকার কাজ দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো, নিয়মিত এ ক্রয়ের জন্য কেন সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে? এ কাজের জন্য যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হলো, তা কীসের ভিত্তিতে? কোন যুক্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচিত করা হলো; কার্যাদেশের মূল্য নির্ধারণের ভিত্তিই-বা কী? এ ক্ষেত্রে ব্যয়িত অর্থের ভ্যালু ফর মানি কীভাবে নিশ্চিত হবে?

এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর ছাড়াই এভাবে কাজ দেওয়ায় প্রক্রিয়াটি কী যোগসাজসমূলক এবং পক্ষপাতদুষ্ট- এমন প্রশ্ন ওঠা অমূলক নয় বলেও মনে করে টিআইবি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসায় পড়ে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম শরীফ  

দ্রুত বিচার শেষ করতে বাড়তে পারে ট্রাইবুনালের সংখ্যা : আসিফ নজরুল

খালেদা জিয়াকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবি

‘আমরা তো অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলছি, আরও অ্যাটাকিং চাচ্ছেন’

রণবীরের মুখটা ছিল একেবারে স্বাস্থ্যকর: ধনশ্রী বর্মা

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিকুল ইসলামের পদ স্থগিত 

কোটি টাকা হাতিয়ে আত্মগোপন জনপ্রতিনিধি, জীবন দিলেন ব্যবসায়ী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে ২ উপদেষ্টা

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘জনযুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত ভেনেজুয়েলা, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১০

নুরকে দেখতে হাসপাতালে শামা ওবায়েদ, চাইলেন সুষ্ঠু তদন্ত

১১

জাগপা সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা

১২

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বেলজিয়াম, ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি

১৩

ডিএনসিসির সতর্কবার্তা

১৪

আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ, ভরি কত?

১৫

সুমনার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

১৬

জুতার মধ্যে লুকিয়ে থাকা সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

১৭

সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিবিরের লিখিত অভিযোগ

১৮

সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু ঘিরে সামনে এলো ‘ভিডিও’, বাড়ছে রহস্য

১৯

শোবিজে হেনস্তার শিকার, অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিলেন আলিজাহ

২০
X