যাত্রীদের সহায়তা করার আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানের সময় একজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। রাজু নামের ওই ব্যক্তি মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুভেচ্ছার কর্মী। ‘পাওয়ার ব্যাংকে’ লুকিয়ে স্বর্ণবার পাচারের চেষ্টা করছিলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে তাকে ১১টি স্বর্ণবারসহ হাতেনাতে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলোর মোট ওজন ১ হাজার ২৭৬ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, শুভেচ্ছার সিনিয়র কাস্টমার রিপ্রেজেনটেটিভ রাজুর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা দলের। রাজুকে ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের কাছে টয়লেটে ঢুকতে দেখা যায়। এ ছাড়া সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো কিছু বিনিময় করে বলেও সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। এ সময় একটি কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংকের ভেতর থেকে ১০টি এবং তার পকেট থেকে একটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানান, দুবাই থেকে আসা যাত্রীর কাছ থেকে এসব স্বর্ণের বার নিয়েছেন তিনি। স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে মোবাইলে রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। কাজ শেষে তাকে পাওনা বুঝিয়ে ‘খুশি করে’ দেওয়া হবে বলে কথা দেয় তারা।
রাজুর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকায়। তার বাবার নাম মজিবুর রহমান। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন