একদিকে তীব্র তাপদাহ, অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। তার ওপর দেখা নেই বৃষ্টিরও। সব মিলিয়ে ঘরে-বাইরে স্বস্তি নেই কোথাও। এ পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ যেখানে নাজেহাল, সেখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ মিলছে বনানীর ১৮ নম্বর সড়কে।
২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে বলে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না এ সড়কের বসবাসকারীদের। বাড়িগুলোর জেনারেটর ও ইউপিএস-আইপিএস ব্যবহারেরও প্রয়োজন পড়ছে না।
সারা দেশ যখন লোডশেডিংয়ে নাজেহাল, তখন বনানীর ১৮ নম্বর সড়কের চিত্র কেন ভিন্ন-তা জানা গেল স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে। যানজট ও কোলাহলমুক্ত এ সড়কের বাসিন্দারা জানান, এখানে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি থাকেন। এ ছাড়া সড়কটির আরেকটি ভবনের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর। এ ছাড়া এ সড়কে ভিআইপি থাকায় বিদ্যুতের ডাবল লাইনও থাকতে পারে। এ জন্য এখানে সব সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বলে ধারণা তাদের।
বিভিন্ন বাড়ির কেয়ারটেকাররা জানান, এ এলাকায় কালেভদ্রে বিদ্যুৎ যায়। ১ থেকে ২ মিনিটের মধ্যে আবার চলেও আসে। তাও আবার অনেক দিন পরপর। এ ছাড়া ডেসকোর কর্মকর্তারা মাঝেমধ্যে এসে লাইন ঠিক করে দিয়ে যান। এক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুতের লাইন মেরামত করলে সেটিও আগের দিন মাইকিং করে এসে বলে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ডেসকোর গুলশান সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ১৮ নম্বর রোডে কেন বিদ্যুৎ যায় না, তা তিনি জানেন না।
কয়লার অভাবে গত ২৫ মে বন্ধ হয় যায় পটুয়াখালীর পায়রার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন। এর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়তে শুরু করে লোডশেডিং। এরপর ৫ জুন দুপুর ১২টার দিকে বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিটটিও।
এরপর তীব্র গরমে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের যাওয়া-আসার মধ্যে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে শুরু করে।
মন্তব্য করুন