কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকা দক্ষিণের কাউন্সিলর আউয়ালকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আউয়াল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আউয়াল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আউয়াল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুদক কার্যালয়ে উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাকে দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে একজন সহযোগীর মোটরসাইকেলযোগে সেগুনবাগিচায় দুদক অফিসে আসেন আউয়াল হোসেন। দরকারি নথিপত্রের একটি খাম হাতে তিনি কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কার্যালয় থেকে বের হন।

এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন বলেন, ‘ফুলবাড়িয়ার নগর প্লাজা, সিটি প্লাজার বিষয় নিয়ে ডাকছে। ওসব বিষয়ে আমি তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। আমরা নগর প্লাজা ইজারা নিয়েছি। এখানে মিথ্যা একটা অভিযোগ করা হয়েছে, আমরা নাকি নগর প্লাজার কার পার্কিংয়ের নামে দখল করছি।’

তিনি বলেন, ‘পেপার-পত্রিকা মিথ্যা অভিযোগ করছে। কিছু সাংবাদিক টাকা খেয়ে মিথ্যা রিপোর্ট করে। এ জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। অনেক মামলা হয়েছে। আরও মামলা হবে। আমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি দখল, চাঁদাবাজি ও এলাকায় পঞ্চায়েত কমিটির মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থায় বিচার করে অর্থ আদায় করার মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর গুলিস্তানে সিটি করপোরেশন মার্কেট সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা, জাকের সুপার মার্কেটে গাড়ি পার্কিংয়ের ইজারা নিয়ে পুরো মার্কেট দখলের পাঁয়তারা করছেন আউয়াল।

জানতে চাইলে দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আগেই ছিল। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে কমিটি গঠনের পর গত ১৭ জুলাই কাউন্সিলর আউয়ালকে নোটিশ দেন দুদকের কর্মকর্তা। নোটিশে আউয়াল হোসেনের নিজ, তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে কেনা এবং ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া সম্পদের দলিলের সব কপি চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত ট্রেড লাইসেন্স, অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ থাকলে তার প্রমাণপত্র, পরিবারের সবার ব্যাংক হিসাব বিবরণী, বিমা, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, গাড়ির রেকর্ডপত্র, আয়কর নথি ও ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ছাত্রদলের ২ নেতা নিহত 

ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উপদেষ্টাদের নাম ও কল রেকর্ড আছে : ডা. তাহের 

মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস নিয়ে জর্ডানের রাজার বিস্ফোরক মন্তব্য

২১ মাস অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন উত্তোলন

ভাত খাওয়ার সঠিক সময় জানালেন বিশেষজ্ঞ

কাতার চ্যারিটির বাংলাদেশ অফিসে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশের সামনে আজ যে সমীকরণ

সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য কালামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ

যুবলীগ নেতা সুমন গ্রেপ্তার, অটোচালকদের মিষ্টি বিতরণ

৬ মাস জলাবদ্ধ, যাতায়াতের ভরসা বাঁশের সাঁকো

১০

শীতে রক্তচাপ নিয়ে সতর্ক থাকা কেন জরুরি জানালেন চিকিৎসক

১১

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

১২

ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে পদ্মা সেতু অবরোধ

১৩

হজযাত্রীদের জন্য যে চার টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি

১৪

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পদ্মার চরে জমজমাট ইলিশের বাজার

১৫

রাজশাহী ও বগুড়ায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ

১৬

যেসব সাধারণ কারণে পুরুষদের পেলভিক ব্যথা হয়

১৭

হাসিনাকে ফেরাতে রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : দুদক চেয়ারম্যান

১৮

জামায়াত কর্মী মহিবুর হত্যা মামলায় ১৫ জনের যাবজ্জীবন

১৯

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনা আইনে বিচার দাবি

২০
X