

‘সোরিয়াসিস শুধু একটি ত্বকের রোগ নয়— এটি শরীরজুড়ে নানা জটিলতার কারণ হতে পারে। এ রোগে আক্রান্তদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজন বৃদ্ধি, মানসিক চাপ, হাত ও গিরার ব্যথার মতো সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা বেশি। তাই সোরিয়াসিসের চিকিৎসা কেবল ত্বককেন্দ্রিক না হয়ে সার্বিক শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করেই করতে হবে।’
রোববার (০২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ আয়োজিত বিশ্ব সোরিয়াসিস দিবসের সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল মাওলা। প্রধান অতিথি ছিলেন চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. মনছুরুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাসলিম উদ্দিন ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবদুর রব। এ সময় অধ্যাপক ডা. সামিউল হক ও আবু হেনা চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চিকিৎসক তাহমিনা বিনতে হুমায়ুন।
সেমিনারে জানানো হয়, চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে প্রতি সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সোরিয়াসিস রোগীদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সোরিয়াসিস রোগীদের জীবনাচারে পরিমিত হতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, পরিমিত খাবার খাওয়া ও ওজন কমানো জরুরি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে বঞ্চিত না করে বরং মানসিক সাহস জোগাতে হবে।’
চিকিৎসকরা বলেন, সোরিয়াসিসের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং নিয়মিত ফলোআপ ছাড়া নিয়ন্ত্রণ কঠিন। তাই রোগীর সচেতনতা ও পরিবারিক সহযোগিতাই চিকিৎসার বড় অংশ।
মন্তব্য করুন