কক্সবাজারের রামুতে বন্যহাতির একটি পাল লোকালয়ে চলে এসেছে। এরইমধ্যে হাতির আক্রমণে আহত হয়েছেন দুজন। আহতদের মধ্যে একজন পুরুষ অপরজন নারী। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে হাতির পালকে বনে ফেরাতে কাজ করছেন বনবিভাগ, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ প্রশাসনের লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ার ঘোনা পশ্চিম গনিয়াকাটা এলাকায় ৬ সদস্যের একটি বন্য হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসে। তাদের মধ্যে দুটি বাচ্চা হাতিও রয়েছে।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মো. ফোরকান জানান, ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে যেতেই হাতির পালের আক্রমণে ওই এলাকার মোহাম্মদ উদ্দিনের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪৫) ও লিয়াকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ জুনাইদ (২০) গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে হাতির পাল দেখতে স্থানীয় হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করে। ওই ভিড়ের মধ্যে পড়ে অপর এক বৃদ্ধ গুরতর আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা, থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, বাঁকখালী বিট কর্মকর্তা, ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, হাতির পাল দেখার জন্য প্রচুর লোকসমাগম হয়েছে, তাদের সরানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে মাইকিং করেছি। মানুষকে সরিয়ে দিয়ে হাতিগুলোকে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে চলে যেতে সহায়তা করছি।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান, হাতির পালটি লোকালয়ে আসলে উৎসুক মানুষের সমাগম হওয়াতে হাতিগুলো খুব ভীতু হয়ে পড়েছে। তাদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও বনবিভাগের লোকজন কাজ করেছে।
মন্তব্য করুন