চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৫ হাজার মূল্যের বাতি ২৭০০০ টাকায় কিনেছে রেল!

চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তরা। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তরা। ছবি : কালবেলা

বাজারে যে বাতির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার, সেটাই ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেলওয়ে। যন্ত্রাংশ ক্রয়ে এমন ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক।

কালবেলাকে তিনি বলেন, দুদক টিম ট্রাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন বলছে দুদক। মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যা প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়।

তিনি বলেন, এ ছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কীসের উপর ভিত্তি করে ওইসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টস পাওয়া যায়নি। এরপর দুদক টিম বৈদ্যুতিক প্রকোশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য জন্য সিওএস এর দপ্তরে যায়। সেখান থেকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। যা অসংগতিপূর্ণ বলছে দুদক।

একই টিম পরে পাহাড়তলীতে অবস্থিত রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অবস্থিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরএ্যা-আই এর মেরামতকৃত কক্ষ পরিদর্শন করেন। ওয়াকিটকি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত কালবেলাকে বলেন, রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়, যেগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

এবার তিশার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

আইটেম গানে শাকিবের নায়িকা, সমালোচনার কড়া জবাব

বিপিএল: বিদেশি লেগস্পিনারকে দলে ভেড়াল চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ প্রবেশপথ অবরোধ

এক লাফে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ শহরে উঠে এলো ঢাকা

পেছাতে পারে জকসু নির্বাচন, প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

রশির সূত্র ধরে যেভাবে বেরিয়ে এলো শিশু জায়ান হত্যার রহস্য

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তুমুল সংঘর্ষে আহত ২৭

ভূমিকম্পপ্রবণ ঢাকা হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর

১০

তপশিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে : সিইসি

১১

জামায়াতের মনোনয়ন পেলেন আলোচিত ড. ফয়জুল হক

১২

তৌসিফের নায়িকা মিস ওয়ার্ল্ড নীলা, পর্দায় আসছে নতুন জুটি

১৩

এবার নিজেকে ‘গার্ডিয়ান অব চিটাগাং’ ঘোষণা শাহজাহান চৌধুরীর

১৪

বার্সাকে উড়িয়ে দিল চেলসি, লেভারকুসেনে ‘স্তব্ধ’ সিটি

১৫

স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ, ১৪ বছরের সংসারের ইতি টানলেন সেলিনা

১৬

লক্ষ্মীপুরে বাসে আগুন

১৭

আজ কী আছে ভাগ্যে, জেনে নিন রাশিফলে

১৮

জানা গেল কবে বিয়ে করবেন রোনালদো, কোথায় হবে অনুষ্ঠান

১৯

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত ফ্রান্স

২০
X