চট্টগ্রামের আকমল আলী পকেটগেট এলাকায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিএনজিচালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শনিবার (৪ মে) ডবলমুরিং থানায় ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুমিল্লার সিএনজি গ্যারেজের মেকানিক মো. সাগর (১৯)। তিনি মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় থাকেন। অপরজন ভোলার সিএনজিচালক মো. আক্তার (৩০)। তিনি বন্দরটিলা এলাকায় থাকেন।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। গত ৩ মে সন্ধ্যায় কারখানা থেকে বের হওয়ার পর বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে গ্যারেজ মেকানিক সাগর সিএনজিতে তুলে নেয়। চালক ছিলেন আক্তার।
তরুণীর অভিযোগ, ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেট গেট এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্জন রাস্তায় গিয়ে সিএনজিতেই সাগর ও আক্তার পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই সিএনজিতে করেই তাকে মিস্ত্রিপাড়ার বাসায় নামিয়ে দেয়।পুলিশ অভিযান চালালে পুলিশি তৎপরতা বুঝতে পেরে সিএনজিটি মিস্ত্রীপাড়া লাল মসজিদের পাশে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা। সিএনজি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আসামি সাগরকে রোববার রাতে ডবলমুরিং এলাকা থেকে আটক করা হয়। কিন্তু সিএনজি চালক মো. আক্তার পালিয়ে যান। গোপন খবরে জানা যায়, নিজ জেলা ভোলায় পালিয়ে যাওয়ার জন্য হালিশহর থানার বড়পোল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছেন তিনি। ভোলা যাওয়ার আগেই সোমবার (৬ মে) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তরুণীর সঙ্গে একই এলাকার গ্যারেজ মেকানিক সাগরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই গ্যারেজে নিয়মিত সিএনজি রাখার সুবাদে সাগরের সঙ্গে আগে থেকেই আক্তারের ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। দুজন পরিকল্পনা করেই তরুণীকে বেড়ানোর ছলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন