জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউপির উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আপন চাচা-ভাতিজি। দুজই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন।
একই পরিবারে দুই প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা পড়েছেন বিপাকে। কাকে ছেড়ে কাকে সমর্থন দেবেন তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে জল্পনা কল্পনা। তাদের আত্মীয়স্বজনরাও রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে।
জানা গেছে, নিলাক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন নজরুল ইসলাম সাত্তার। নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৭ জুলাই চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে চাচা-ভাতিজিসহ ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চাচা হাবিবুর রহমান ওয়াকার আনারস প্রতীক ও ভাতিজি মেহেজাবীন বিনতে হাসিব অরিন টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।
ব্যবসায়ী সেলিম মাহমুদ বলেন, আপন চাচা ও ভাতিজি প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা বিব্রত। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তাই আমরাও দ্বিধায় আছি। তাছাড়া তারা তো শুধু ভোটের সময় এলাকায় আসেন। ভোট শেষ হলে তাদের আর দেখা যায় না। তাই এলাকার মানুষ বুঝেশুনে শেষ মুহূর্তে উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট দেবেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেজাবীন বিনতে হাসিব অরিন বলেন, চাচা প্রার্থী হলেও আমার নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমার বাবা অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান নাজার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত নির্বাচনে অল্প ভোটে আমি পরাজিত হই। এবার প্রার্থী হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ অনেক খুশি। ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি বেশ। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয় নিয়েই ঘরে ফিরতে চাই।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান ওয়াকার বলেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। সাড়াও পাচ্ছি বেশ। ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। পরিবেশ একদম স্বাভাবিক রয়েছে। ২৭ জুলাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
মন্তব্য করুন