বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২
মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে মেহেরপুরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

জামায়াত-শিবিরের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
জামায়াত-শিবিরের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা থেকে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুরের রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

একদিকে জামায়াত ও বিএনপিপন্থি রাজনীতিবিদরা বলছেন, সরকার ছাত্র আন্দোলনে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের ইস্যু ঢাকতে এই কাজ করেছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগপন্থিরা বলছেন, এটি আরও অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ধর্মভিত্তিক কোনো রাজনৈতিক দল থাকতে পারে না। উচ্চ আদালত থেকেও অনেক আগেই জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ সংস্থা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলো।

বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন একটি রাজনৈতিক ভাওতাবাজি। সরকারি প্রজ্ঞাপন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

হঠাৎ করে আমাদের জানানো হচ্ছে ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য আমাদের নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কিন্তু এখন ছাত্রলীগ যে রামদা হকিস্টিকসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সাধারণ ও নিরাপরাধ ছাত্রছাত্রীদের হত্যা করছে। সেটা কী তারা দেখছে না। কই ছাত্রলীগের রাজনীতি তো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। আমরা আমাদের অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মাঠে থাকব।

বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ কালবেলাকে বলেন, এখন রাজপথে ছাত্র জনতার যে গণআন্দোলন চলছে, সেটির তীব্রতা প্রতিনিয়তই বেগবান হচ্ছে এবং প্রকৃত অর্থে এই আন্দোলন এখন সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলনের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। এই ঘটনাটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘটনা এ ধরনের অপচেষ্টারই একটি অংশ।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, এটি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। ১৯৭২ এর সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক কোনো দলের রাজনীতি করার সুযোগ নেই। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের সময় উচ্চ আদালত থেকেও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের আদেশ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও অনেক দেরিতে এটি কার্যকর হলো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চবিতে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

চাকসুর ফল কারচুপির চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান

৩১ দফা বাস্তবায়নে / বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহাগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

চবিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের আহ্বান

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

চাকসু নির্বাচনে আরেক হলের ফল ঘোষণা, ভিপি পদে এগিয়ে ছাত্রদল

গোমতীর চরে আগাম সবজির চাষ, অধিক লাভের আশা কৃষকের

নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কেশবপুরের তপস্যা

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

১০

ইন্দোনেশিয়ায় তেলবাহী ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১০

১১

রাত থেকে লাইনে নারী-পুরুষ, সকালে মেলে আটা

১২

ওসিকে অপসারণে শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

১৪

উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দিপালী উৎসব কাউনিয়া আদি শ্মশানে

১৫

বিশ্ব মেরুদণ্ড দিবস ২০২৫ : মেরুদণ্ডের যত্নে সচেতন হই, সুস্থ জীবন গড়ি

১৬

কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের বেইলি ব্রিজে ফাটল, দুর্ঘটনার শঙ্কা

১৭

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দলের একক মাতবরি থাকবে না : নুর

১৮

জুলাই জাতীয় সনদে সই করবে না ৪ দল

১৯

সিলেটে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভাগ্য নির্ধারণ রোববার

২০
X