লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গুজব ছড়ানোয় ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ সোহাগ। ছবি : সংগৃহীত
ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ সোহাগ। ছবি : সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পদত্যাগ করা ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ সোহাগ কারাগারে আছেন। গুজব ছড়ানো ও নাশকতার অভিযোগে বিয়ের দিন ভোরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ১৩ দিনেও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি তিনি।

পদত্যাগ করা ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ সোহাগ লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের ঢুষপাড়া আগরপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন মেম্বারের ছেলে ও বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে নিজ ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আসসালামু আলাইকুম। আমি মো. আবু সাঈদ সোহাগ আড়বাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। ১৯ জুলাই ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২২ জুলাই পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের ঢুষপাড়া আগরপুর গ্রামের হুদার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় ২২ জুলাই ভোরে তাকে আটক করে লালপুর থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগের বড় ভাই মতির কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

ছাত্রলীগ নেতার হবু স্ত্রীর ভাই নাজমুল হক জানান, উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২২ জুলাই সোহাগের সঙ্গে তার একমাত্র বোনের সঙ্গে বিয়ের তারিখ নির্ধারিত হয়। ছাত্রলীগের পদ থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করায় বিয়ের দিন ভোরে পুলিশ তাকে আটক করে।

বিষয়টি জানার পর লালপুর থানায় গেলে তার (সোহাগ) সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি নাটোর আদালতে তার সঙ্গে পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সোহাগের নামে পুলিশ একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে নাটোর জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

সোহাগের হবু শাশুড়ি নাজমা বেগম জানান, একমাত্র মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানের সব আয়োজন সম্পূর্ণ করেছিলাম। আমার আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত করেছিলাম। কিন্তু বিয়ের দিন ভোরে হবু জামাই সোহাগকে পুলিশ বাড়ি থেকে আটক করে। কী কারণে আটক করেছে তা পুলিশ নিশ্চিত করেনি।

নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভ ইসলাম কালবেলাকে জানান, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়া যায় না। তবে ছাত্রলীগের প্যাডে লিখে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করতে পারে।

লালপুর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ কালবেলাকে জানান, অনলাইনে গুজব ছড়ানো ও নাশকতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোট মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জামায়াতের

গাজার ফুটবল পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ

চাকসু নির্বাচন / ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থীকে সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন এক প্রার্থী

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

বিয়েতে বন্ধু না আসায় কবুল বলেনি বর

চাটুকারিতাকে যেভাবে পররাষ্ট্রনীতিতে রূপ দিলেন শেহবাজ শরিফ

ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য শরিয়াভিত্তিক হাউস-কার লোন চালুর পরামর্শ আহমাদুল্লাহর

আগামীর নেতৃত্বে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার

১০

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১৩ কর্মকর্তার-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

১১

৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নেননি ৪১ শতাংশ পরীক্ষার্থী 

১২

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

১৩

কালবেলার সাংবাদিকের বাবার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল

১৪

জুলাই আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিল তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্ররা : ভিপি সাদিক

১৫

রাকিবের গোলে হংকংয়ের মাঠে বাংলাদেশের ড্র

১৬

মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু

১৭

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ল

১৮

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মিয়ানমার নাগরিক নিহত

১৯

গাজা শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করল যুক্তরাষ্ট্র-মিসর-কাতার-তুরস্ক

২০
X