অনুমতি না পেলেও রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। সেখান থেকে শালবাগান এলাকায় গিয়ে মিছিল শেষ হয়।
আরও পড়ুন : আন্দোলনের খেলা শুরু হয়ে গেছে : নুর
বিক্ষোভ মিছিল থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরর অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন ঘটনায় কারাগারে আটক নেতাদের মুক্তি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের আমির ড. কেরামত আলী। এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ-সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) জামায়াত নেতারা রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরে আবেদন করেন। দীর্ঘদিন পর রাজশাহীতে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের জন্য এমন আবেদন ছিল প্রথম।
আরও পড়ুন : বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ওই আবেদনে জামায়াত নেতারা শুক্রবার দুপুরে মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সদর হাসপাতাল মোড় হয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট যেতে চায়। এসব এলাকা ঘুরে বিক্ষোভ মিছিলটি একই স্থানে এসে শেষ করতে চেয়েছিলেন। তবে মহানগর পুলিশ এই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি। এরপরও জামায়াতে ইসলামী আজ কর্মসূচি পালন করে।
তবে হেতেমখাঁ এলাকায় না করে মহানগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। আর দুপুরের বদলে সকালে সবাই বাইরে বের হওয়ার আগেই মিছিল সেরে ফেলে। খবর পেয়ে পরে টহল পুলিশ গেলেও সেখানে আর কাউকে পায়নি।
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, সকালে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ-মিছিল করেছে বলে তারা শুনেছেন। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন