বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, সাবেক এমপি, সাবেক সংসদীয় দলের হুইপ ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষ মিলেমিশে দেশকে বসবাসযোগ্য করার জন্য নতুন প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে চাই। দেশকে গড়তে যা করা দরকার সবাই মিলেমিশে করার চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার।
তিনি বলেন, আসুন আমরা সব ধরনের প্রতিহিংসা ও সাম্প্রদায়িকতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে জাতি-ধর্ম-দল নির্বিশেষে সবাই একযোগে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রবর্তক মোড়স্থ ইস্কন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির পাঁচলাইশ চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চোধুরী, নগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এসএম লুৎফুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাবু, পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী, কোতোয়ালি থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোস্তাক আহমদ, পাঁচলাইশ থানা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তৌহিদ আজাদ প্রমুখ।
ইস্কন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, আরও বক্তব্য দেন ইস্কন প্রবর্তক মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস, সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তী, বাগীশিস সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শুভাশিস শর্মা, বাপ্পী দে, সুজন দাস, সুমন ঘোষ বাদশা, স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ও সুমনাথ দাসসহ বিভিন্ন নেতারা।
মতবিনিময় সভায় মহানগরী আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক কোনো দলের আন্দোলন ছিল না। কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে শুরু হওয়া আন্দোলন পুরো দেশে সংস্কার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, পুরো বাংলাদেশ গত ১৮ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের কবলে নিমজ্জিত ছিল। দুর্নীতিবাজ, মানিলন্ডারিং, সিন্ডিকেট, কিশোর গ্যাং, ব্যাংক ঋণ খেলাপি, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সব মানুষের মতপ্রকাশ, ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও বাংলাদেশের মানুষ এসবের মাধ্যমে নিষ্পেষিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কোনো অন্যায়-অবিচারের বিচার পায়নি। সব ধর্মের মানুষ যেভাবে বিচারহীনতায় ছিল তেমনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরও কোনো অন্যায়ের বিচার পায়নি।
মন্তব্য করুন