কুমিল্লার বরুড়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের পর আনন্দ মিছিল থেকে ফুটানো আতশবাজি বাড়ির উঠানে পড়ায় আবুল হাছান নামে এক যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) ভোর ৫টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত আবুল হাছান বরুড়ার পয়ালগাছা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। প্রতিবেশী আসামি রাব্বি হোসেনও একই গ্রামের প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর আনন্দ মিছিল করেন উপজেলা পয়ালগাছা ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের স্থানীয় জনগণ। বিকাল সাড়ে ৫টায় আনন্দ মিছিলটি বের হলে এতে অংশগ্রহণ করেন যুবদল কর্মী আবুল হাছান। তার হাতে থাকা আতশবাজি গিয়ে পড়ে প্রতিবেশী রাব্বি হোসেনের বাড়ির উঠানে।
আতশবাজির আওয়াজে রাব্বির ছোট মেয়ে ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে সে বাসা থেকে বের হয়ে মিছিলের পেছনে থাকা যুবদল কর্মী আবুল হাছানকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই স্থানীয়রা দুপক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করে দেয়।
আহত আবুল হাছানকে রাব্বির পরিবার চিকিৎসার জন্য কিছু টাকা দেয়। আহত আবুল হাছানকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হাছান মারা যায়।
স্থানীয় মেম্বার আমির হোসেন বলেন, এটা গত ৫ আগস্টের ঘটনা। আহত আবুল হাছানের চিকিৎসা জন্য খরচ দেয় রাব্বির পরিবার। পরিবারের সদস্যরা আবুল হাসানকে কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে সে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তথ্য সংগ্রহ করে লাশ নিয়ে গেছে। অভিযুক্ত আসামি রাব্বি হোসেন ও মা তার মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পয়ালগাছা ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, আবুল হাসান আমার ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদল কর্মী। আমাদের যুবদল কর্মীর হত্যার বিচার চাই।
বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, নিহত আবুল হাছানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন