মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় চার শিশুসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৮ জন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ও শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদীতে ভেসে আসা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহগুলো আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সংস্থার পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়।
টেকনাফের এনজিও কর্মী মাহবুব আলম মিনার বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে শিশুসহ সাত রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়েছে। মৃতদেহগুলোর মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও ছিলেন। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে আমরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা গুলিবিদ্ধ ও নৌকাডুবিতে নিহত ২৮৬ জনের লাশ দাফন করেছি। তার মধ্য বেশি ছিল শাহপরীর দ্বীপে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট নৌকা ডুবির ঘটনায় নাফ নদী ও সাগরে ভেসে আসা ৫৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধারের খবর জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. ওসমান গনি।
হ্নীলা সীমান্তের বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মুখে পড়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। নাফ নদী পেরিয়ে একটি রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ঝড়ো হাওয়া কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নাফ নদীতে রোহিঙ্গাদের মরদেহ ভেসে আসছে।
টেকনাফের-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নাফ নদীতে কিছু রোহিঙ্গার মরদেহ ভেসে এসেছে। সেগুলো স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে দাফন সম্পন্ন করেছে।
মন্তব্য করুন