বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নারায়ণগঞ্জের মেঘনা শিল্প নগরীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. ইমরান হাসান।
ইমরান একই এলাকার স্থানীয় দোকানি মো. সালেহ আহমেদের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন ইমরান।
পরিবারের দুই ছেলের মধ্যে বড় সন্তানের কথা স্মরণ করেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত ইমরানের মা কোহিনুর আক্তার। তিনি বলেন, ৫ তারিখ বাসা থেকে না বলে বন্ধুদের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে যোগ দেয় সে। পরে আন্দোলনের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ছাত্ররা এসে আমাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে যায়। তবে উপজেলা প্রশাসন কিংবা এলাকার সুশীল সমাজের কেউ এখন পর্যন্ত তেমন কেউ সহযোগিতা করেননি।
নিহত ইমরান হাসানের ছোট ভাই আবু সাঈদ বলেন, বড় ভাই গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম রেজা জানান, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ এখন পর্যন্ত জানায়নি। সাহায্যের লিখিত আবেদন পেলে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, থানায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আসেনি। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানকার থানা কিংবা কোর্টে মামলা করা হলে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে আমাদের জানানো হবে। এরপর আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
আর্কাইভ 
| ০৮ অক্টোবর ২০২৫ 
