ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি এখনো কসবা উপজেলায় প্রবাহিত হচ্ছে। উচ্চ প্রবাহের ফলে ভেঙে গেছে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক মোড় সংলগ্ন এলাকার সড়কটি। এতে কসবা থেকে কুমিল্লার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি কসবা প্লাবিত করে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত ৩টায় পানির তোড়ে ভেঙে যায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক মোড় সংলগ্ন কুমিল্লা যাওয়ার একমাত্র সড়কটি। এতে উপজেলার বায়েক, গোপীনাথপুর, কাইয়ুমপুরের ৪০টি গ্রামের পরিবার এখন পানিবন্দি রয়েছে৷ সেই সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কসবা-কুমিল্লা যাওয়ার বাইপাস সড়কটির।
স্থানীয় ও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া বন্যা কবলিতরা বলছেন, বায়েক ইউনিয়নের সালদা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে সালদা নদীর পানি বাঁধের উপর দিয়ে গ্রামগুলো প্লাবিত করছে। এমন অবস্থা তাদের চমকে দিয়েছে। তবে সালদা নদীতে কোনো স্টেশন না থাকায় পানির বিপৎসীমার ব্যাপরে কোনো তথ্য নেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমানের কাছে।
কসবা ইউএনও মোহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার বলেন, সর্বশেষ কসবা উপজেলায় ২৩৫০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এতে প্রায় ৪০ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের জন্য ১০ টন চাল ও ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যাপীড়িতদের জন্য ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন গ্রামের আটকে পড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন