

নাটোরের লালপুরে পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জলি আক্তারীর স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ক্লাসের বাইরে অবস্থান করছে। পরে বিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান এবং পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভ মিছিলটি পাইকপাড়া সেন্টার ও ঈশ্বরদী টু বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে খারাপ আচারণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানে বৈষম্যহীনতা, সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, বিদ্যালয়ে ল্যাব থাকা সত্বেও ক্লাস না নেওয়া, পরীক্ষার ফি বেশি রাখা, বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ওপর ভবন নির্মাণ করে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে। এ সময় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জলি আক্তারীর রুম তালাবদ্ধ দেখা যায়।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাব বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি কিন্তু তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে তাদের দাবিগুলো এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মওলানা ওয়াজেদ আলী বলেন, প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য আমি সিনিয়র পে-স্কেল থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
সহকারী শিক্ষক মাসুমা খাতুন বলেন, ২০২৩ সালে আমার চাকরির দশ বছর পূর্ণ হলেও প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য পে-স্কেল থেকে বঞ্চিত রয়েছি।
এসব বিষয়ে পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জলি আক্তারী বলেন, আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার সময় এমন ঘটনা ঘটেনি। বিদ্যালয়ের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আছি, তবে বিষয়টি মুঠোফোনে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানে কিছু কর্মচারী-শিক্ষক রাজনৈতিক প্রভাব ও পেশি শক্তি খাটিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি-নির্যাতন করেছেন। বর্তমানেও ওই একই মহল অবুঝ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্ররোচণা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আন্দোলনে দাঁড় করিয়েছে। অভিযোগের বিষয়গুলো সত্য নয়।
মন্তব্য করুন