ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কৌতূহলী বাগানবাড়ি

ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কৌতূহলী বাগানবাড়ি। ছবি : কালবেলা
ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কৌতূহলী বাগানবাড়ি। ছবি : কালবেলা

পাখির চোখে তাকালে যে কারও চোখ আটকে যাবে বাগান বাড়িটি দেখে। চারপাশে পুকুর, আম, লিচু আর সুপারি গাছের সারি সারি বাগান সঙ্গে লাখ টাকার বনসাইসহ আলিসান বাড়ি রয়েছে বাগানবাড়িটিতে। চোখ জুড়ানো এই বাগান বাড়িটির মালিক সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম।

গত ২০১০ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌধুরীহাট বাজারের পূর্ব পাশে ২৫ বিঘা জমি কেনেন শাহরিয়ার আলম। নাম দেন নর্থ বেঙ্গল অ্যাগ্রো ফার্মস লিমিটেড। তবে ক্রয়কৃত জমির চেয়ে আরও প্রায় ১০ বিঘা জমি বেশি দখলে নিয়ে বাগান বাড়ি করেছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে অন্যের পৈতৃক সম্পদসহ সরকারি সম্পত্তি। এই সম্পদ দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ২০০ কোটি টাকা মর্গেজ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

চোখ জুড়ানো এই বাগান বাড়ির চারপাশে রয়েছে চারটি পুকুর। পাশে সারি সারি আম-সুপারি গাছ ও ড্রাগনের বাগান। ধান আবাদের পাশাপাশি আবাদ হয় লাউ, পেঁপেসহ নানান ধরনের সবজি। রয়েছে বিভিন্ন জাতের বনসাই গাছ৷

বাড়ির পাশে হলেও ভেতরে প্রবেশ নিষেধ ছিল স্থানীয়দের। নিজের কেনা জমি ছাড়াও ক্ষমতার দাপটে জোরপূর্বক জমি দখলেরও অভিযোগ তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা খোকন বলেন, আমরা জানি এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর জায়গা। এখানে প্রবেশ একবারে নিষেধ ছিল। এতদিনে কেউ কখনো এখানে প্রবেশ করতে পারেনি। ভেতরে কী আছে কী হচ্ছে এসব নিয়ে মানুষের মনে অনেক কৌতূহল ছিল। এখানে কেনা জমি ছাড়াও অনেকের কাছে জোর করে নেওয়া জমিও আছে।

ভেতরে কাজ করা শ্রমিক রফিকুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে চাষাবাদ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ধান চাষ হয়। পুকুরে মাছ চাষ হয়। আলুর জাত নিয়ে কাজ করার ল্যাব আছে। এ ছাড়াও অনেক গাছ আছে সেগুলোর যত্ন নিতে হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী আমজাদ হোসেন বলেন, সাবকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এখানে এসে বাংলো বাড়ি বানিয়েছে। এখানে এত জমি কিনে রেখেছে, তাহলে অন্যদিকে তার কত জমি আর সম্পত্তি আছে কে জানে। এখানে পুকুর, আলিশান বাড়ি বানিয়েছে। তার কত সম্পত্তি সেসব খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার সরকারের। আর এসব সম্পত্তি কীভাবে নেওয়া হয়েছে সেসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।

শাহরিয়ার আলমের বাগানবাড়িতে থাকা নর্থ বেঙ্গল অ্যাগ্রো ফার্মসের ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম বলেন, এখানে নিয়মিত ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করেন। বিভিন্ন বাগান ও বাড়ির পাশাপাশি রয়েছে টিস্যু কালচার ল্যাব। এখানে অনেক দামি বনসাই গাছ রয়েছে। সেগুলোর যত্ন নিতে হয়। তবে দেশের এমন পরিস্থিতিতে এখান তেমন আর খোঁজখবর নেন না সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তার ভাই সাইফুল আলম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পবিপ্রবি পরিদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান

থালা-বাসন নিয়ে শিক্ষকদের ভুখা মিছিল, আটকে দিল পুলিশ

পতেঙ্গায় গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ

সরকারের উচিত এনসিপির কাছে ক্ষমা চাওয়া : সারজিস আলম

সদরঘাটে লঞ্চে আগুন নিয়ে প্রচার, ব্যাখ্যা দিল ফায়ার সার্ভিস

আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি যে আহ্বান জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

বিমানবন্দরে আগুন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, আশঙ্কা ইউট্যাবের

আবারও গাজায় বিমান হামলা করল ইসরায়েল

নরসিংদী জেলা যুবদল সভাপতির কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, বিএনপির শোকজ

১০

২৪ কোটি টাকার উন্নয়ন ‘জলে’

১১

অবহেলায় পড়ে আছে ১৪ কোটি টাকার কিশোরগঞ্জ পৌর মার্কেট

১২

৬ ভিপি-জিএসসহ চাকসুর হল সংসদের মিশ্র জয়ে এগিয়ে ছাত্রদল

১৩

মারা গেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা

১৪

পদত্যাগ করলেন খালেদ মাসুদ পাইলট

১৫

বিকেল চারটার মধ্যে আগুন নির্বাপন হবে

১৬

শ্রীমঙ্গলে কালবেলার বর্ষপূর্তি উদযাপন

১৭

সেন্টমার্টিনে রাতযাপনের বিষয়ে যা বললেন রিজওয়ানা

১৮

দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার

১৯

লবণাক্ত পানির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা, দেখা দিয়েছে চর্মরোগ

২০
X