কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে অধ্যক্ষ পদে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের নতুন কহেলা কলেজ। ছবি : কালবেলা
টাঙ্গাইলের নতুন কহেলা কলেজ। ছবি : কালবেলা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নতুন কহেলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন ইমাম হোসেন মো. ফারুক। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র জালিয়াতি এবং মিথ্যা তথ্যে পুনর্নিয়োগ নিয়ে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ ‍উঠেছে।

সম্প্রতি তার মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়োগ এবং চাকরি করার বিষয়ে নতুন কহেলা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ নুরুল আলম, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক এবং শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের কাছে অভিযোগ করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকেরা।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ইমাম হোসেন মো. ফারুক এক সময় এই কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখার শিক্ষক ছিলেন। ২০০৩ সালের মার্চে তিনি অধ্যক্ষ হন। ২০০৪ সালে তিনি এমপিওভুক্ত হন। ওই শাখাতেই তিনি ২০১০ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত চাকরি করেন। এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও আয়-ব্যয়ের হিসেব জালিয়াতি এবং কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠে।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের টাকার হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে ২০১০ সালের ৮ মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন এবং ওই বছরের ১ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। মাত্র আট মাস চাকরি করার পর উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে চাকরিচ্যুত করে।

এরপর ২০১৬ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক নতুন কহেলা কলেজের সভাপতি হলে নিয়ম বহির্ভূত ছুটি দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ইমাম হোসেন আবারও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ফজলুর রহমান খান ফারুকও ইমাম হোসেনের পদত্যাগের কথা গোপন রাখেন। এরপর সাধারণ কলেজ শাখায় অধ্যক্ষ হিসেবে ইমাম হোসেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এমপিওভুক্ত হন। যা সরকারি এমপিও নীতিমালার পরিপন্থী।

সূত্রমতে, নিয়োগ জালিয়াতি করে ইমাম হোসেন মো. ফারুক ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে সরকারি বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ স্থানীয় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তাকে অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই সাত বছরে উত্তোলিত এমপিও’র টাকা সরকারি কোষাগারে পাঠানোর দাবি তাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম হোসেন মো. ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি পদত্যাগ করিনি। ছুটি নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ছুটি শেষে নিয়ম মেনে যোগদান করি। ৮ মাস ছুটি নিয়ে অন্য কলেজের অধ্যক্ষ হওয়া যায় কি না- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর জেলার ইউএনও শেখ নুরুল আলম কালবেলাকে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘পথ হারিয়ে ফেলেছেন’ নেতানিয়াহু

ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র ওরেশনিক নিয়ে নামছে বেলারুশ-রাশিয়া

ফুটবল খেলা কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত

সর্বপ্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন আল্লাহ তায়ালা

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস 

সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আজ

ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনে চাকরি, আবেদন করবেন যেভাবে

ছেলে মাদকাসক্ত, অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশে দিলেন মা

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

নেতানিয়াহুর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ভাবনায় ক্ষুব্ধ জর্ডান

১০

১৪ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১১

৩ দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা শুরু আজ

১২

আমাদের ৩ জন শেখ মুজিব রয়েছে : মির্জা গালিব

১৩

আরও গভীর হচ্ছে রাশিয়া-ইরান-চীন-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক

১৪

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় 

১৫

দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ জনের প্রাণহানি, দুই গাড়িতে ছিল না ফিটনেস

১৬

১৪ আগস্ট : টিভিতে আজকের খেলা

১৭

১৪ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৯

ক্ষমতায় থাকাকালীন আ.লীগ দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে বানিয়েছিল : নীরব

২০
X