চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাঁচতে চায় সাজিদ, হতে চায় কোরআনের হাফেজ

মো. আব্দুল্লাহ আল সাজিদ। ছবি : সংগৃহীত
মো. আব্দুল্লাহ আল সাজিদ। ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীর আলো-বাতাসে বেঁচে থাকতে চায় অ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়া রোগে আক্রান্ত মো. আব্দুল্লাহ আল সাজিদ। ক্ষতিগ্রস্ত বোনমেরু প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে সাজিদ। পূর্ণ হবে তার কোরআনের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের থানাপাড়া এলাকার মো. সাজ্জাদ হোসেন ও গৃহিণী মোছা. খায়রুম মনিরা দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মো.আব্দুল্লাহ আল সাজিদ (১২)। ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানাতে প্রাথমিকের লেখা-পড়া শেষে হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন বাবা-মা।

সেখানে ৫ পারা কোরআন খতম করেছে সাজিদ। ভালোই চলছিল তার লেখা-পড়া। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে হঠাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে সাজিদ। দেড় মাস চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে মাদ্রাসায় ফিরে যায় সে। ২০ দিন যেতে না যেতেই আবার জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে সাজিদ। দ্বিতীয়বার চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসক ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেপাটোলজি বিভাগে পাঠান। চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রথমে হাইপোফ্লাশিয়া ও পরে এ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

চিকিৎসকের মতে এই রোগের চিকিৎসা তিন ভাবে হতে পারে। প্রথমত-ওষুধ প্রয়োগ করে, দ্বিতীয়ত-এটিজি ইনজেকশন প্রদান করে এবং তৃতীয়ত-বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশন করে।

সাজিদের বাবা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ছেলের সুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক প্রথম পদ্ধতি অর্থাৎ ওষুধ প্রয়োগের চিকিৎসা নিতে থাকি। এতে শরীরে রক্ত প্রদানসহ ওষুধ কিনতে প্রতিদিন ১ লাখ টাকা করে খরচ হচ্ছিল। ওষুধের ডোজ শেষ করার পর আরোগ্য না হওয়ায় দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় পদ্ধতিতে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে এটিজি ইনজেকশন প্রদান করতে খরচ হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা এবং তৃতীয় পদ্ধতিতে বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে খবচ হবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি এবং ঋণ করে এ পর্যন্ত ছেলের পেছনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। ছেলের পরবর্তী চিকিৎসা করানোর জন্য এত টাকা যোগাড় করা তার জন্য অসম্ভব প্রায়।

শিশু সাজিদ পৃথিবীর আলো-বাতাসে বেঁচে থাকতে চায়। আর এজন্য বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করেছে শিশু সাজিদ। যোগাযোগ- মো. সাজ্জাদ হোসেন (সাজিদের বাবা-০১৯১৩-৮৮৮ ৮৫৩)।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয় ‘স্পিড’, কবে কোথায় প্রভাব ফেলবে

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার

ইমিগ্রেশনের সময় যে ৭ কথা বললেই মহাবিপদ

সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর

৮ মামলায় ইমরান খানের জামিন

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

১০

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

১১

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

১২

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

১৩

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

১৪

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১৫

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১৬

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১৭

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৮

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৯

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

২০
X