শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিসিসি থেকে বেতন নেন সাবেক মেয়র খোকনের বাসার কাজের লোক

বরিশাল সিটি করপোরেশন। ছবি : কালবেলা
বরিশাল সিটি করপোরেশন। ছবি : কালবেলা

কাজ করতেন মেয়রের বাসায়। অথচ বেতন নিচ্ছেন সিটি করপোরেশন থেকে। আবার নামে কর্মচারী হলেও দায়িত্ব ছিল রাজনীতির মাঠে জনবলের জোগান দেওয়া। তার ওপর নেই নিয়োগের বৈধতা। বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এমন ৪২ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর তালিকা করেছে নগর প্রশাসন। যাদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি নিয়মনীতি। শুধু মেয়রদের কাছের লোক হওয়াই ছিল তাদের যোগ্যতা।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারী চাকরি হারাতে পারেন যে কোনো সময়। এমনটাই জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী। যদিও গত ১০ সেপ্টেম্বর মেয়রের দপ্তরের ১৬ কর্মচারীকে এরই মধ্যে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর ভবনের নির্ভরযোগ্য সূত্র।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে সেই নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শূন্য পদের বিপরীতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চুক্তির মেয়াদ থাকতে হবে। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোটাই মানা হয়নি। বিশেষ করে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে গেছেন, তাদের কারোরই চুক্তির মেয়াদ নেই। পুরোটাই অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবার সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ একইভাবে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মেয়রের বাসায় দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্টের পর তারা কেউ কর্মস্থলে আসেননি।

নগর প্রশাসক বলেন, ‘অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন আমরা এমন ৪২ জনের একটি তালিকা করেছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন আছেন যারা শূন্যপদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন; কিন্তু তাদের চুক্তির মেয়াদ উল্লেখ নেই। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিগগির তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র থাকা অবস্থায় তার অনুসারী ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। যারা প্রতি মাসে নগর ভবন থেকে মোটা অঙ্কের মজুরি নিয়েছেন।

একইভাবে সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ তার অনুসারী বেশ কয়েকজনকে সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন। যারা নাগরিক সেবায় কাজে না এলেও দায়িত্ব পালন করেছেন মেয়রের বাসায়। খোকন সেরনিয়াবাতের স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহর ব্যক্তিগত সহকারী থেকে শুরু করে কাজের লোকদের বেতনও দেওয়া হতো নগর ভবন থেকে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে নগর প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নুরুদ্দিন অপুকে কাছে পেয়ে নেতাকর্মীরা আবেগাপ্লুত

আসছে অদ্ভুুত সব নিয়ম নিয়ে ক্রিকেটের নতুন ফরম্যাট টেস্ট টোয়েন্টি

আফগানিস্তানে আবারও পাকিস্তানের বিমান হামলা

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড

দূরন্ত গতিতে ছুটছে নারায়ণগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্স

সিনিয়রদের পথে হাঁটতে ব্যর্থ প্রীতিরা

নিজেদের স্বার্থে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান

পাবনায় কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 

চরফ্যাশনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নারায়ণগঞ্জে আবু জাফর আহমদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১০

গাইবান্ধায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১১

ফেনীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১২

রাঙামাটিতে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কালবেলার ৩য় বার্ষিকী উদযাপন

১৩

গোপালগঞ্জে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১৪

সব ব্যাঙ এক পাল্লায় ওঠানো যাবে না : মির্জা আব্বাস

১৫

সাংবাদিক লাঞ্ছনায় প্রতিবাদ সমাবেশ

১৬

জুলাই সনদে সই না করার ব্যাখ্যা দিলেন সারোয়ার তুষার

১৭

নোয়াখালীতে বর্ণিল আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১৮

‘জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল কালবেলা’

১৯

নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

২০
X