বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিসিসি থেকে বেতন নেন সাবেক মেয়র খোকনের বাসার কাজের লোক

বরিশাল সিটি করপোরেশন। ছবি : কালবেলা
বরিশাল সিটি করপোরেশন। ছবি : কালবেলা

কাজ করতেন মেয়রের বাসায়। অথচ বেতন নিচ্ছেন সিটি করপোরেশন থেকে। আবার নামে কর্মচারী হলেও দায়িত্ব ছিল রাজনীতির মাঠে জনবলের জোগান দেওয়া। তার ওপর নেই নিয়োগের বৈধতা। বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এমন ৪২ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর তালিকা করেছে নগর প্রশাসন। যাদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে মানা হয়নি নিয়মনীতি। শুধু মেয়রদের কাছের লোক হওয়াই ছিল তাদের যোগ্যতা।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মচারী চাকরি হারাতে পারেন যে কোনো সময়। এমনটাই জানিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী। যদিও গত ১০ সেপ্টেম্বর মেয়রের দপ্তরের ১৬ কর্মচারীকে এরই মধ্যে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর ভবনের নির্ভরযোগ্য সূত্র।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে সেই নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শূন্য পদের বিপরীতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চুক্তির মেয়াদ থাকতে হবে। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোটাই মানা হয়নি। বিশেষ করে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে গেছেন, তাদের কারোরই চুক্তির মেয়াদ নেই। পুরোটাই অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আবার সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ একইভাবে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মেয়রের বাসায় দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্টের পর তারা কেউ কর্মস্থলে আসেননি।

নগর প্রশাসক বলেন, ‘অনিয়মতান্ত্রিকভাবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন আমরা এমন ৪২ জনের একটি তালিকা করেছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন আছেন যারা শূন্যপদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন; কিন্তু তাদের চুক্তির মেয়াদ উল্লেখ নেই। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিগগির তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ‘মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র থাকা অবস্থায় তার অনুসারী ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। যারা প্রতি মাসে নগর ভবন থেকে মোটা অঙ্কের মজুরি নিয়েছেন।

একইভাবে সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ তার অনুসারী বেশ কয়েকজনকে সিটি করপোরেশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন। যারা নাগরিক সেবায় কাজে না এলেও দায়িত্ব পালন করেছেন মেয়রের বাসায়। খোকন সেরনিয়াবাতের স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহর ব্যক্তিগত সহকারী থেকে শুরু করে কাজের লোকদের বেতনও দেওয়া হতো নগর ভবন থেকে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে নগর প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আকরামের ঐতিহাসিক রেকর্ড ভাঙলেন স্টার্ক

আগামী নির্বাচন হবে বিশ্ব স্বীকৃত ঐতিহাসিক নির্বাচন : সালাহউদ্দিন

স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও 

এবার আগুনে দগ্ধ হলেন আরিফিন শুভ

হামজা ও মিরাজের সঙ্গে এক স্বর্ণালী সন্ধ্যায়

সন্তানহারা মা কুকুর পেল নতুন ৪ ছানা, আদর-যত্নে কাটছে সময় 

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চীন

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিতে চায় ২ দেশ

‎জবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু মঙ্গলবার

ডিএমপির ৫০ থানার ওসি বদল

১০

প্রেমিকের হুডি চুরি করতেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী

১১

আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

১২

খালেদা জিয়াকে মধ্যরাতের পর লন্ডনে নেওয়া হবে : ডা. জাহিদ

১৩

খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন যে ১৪ জন

১৪

কাশিমপুর থেকে ২৬ বছর পর পাকিস্তানি নাগরিকের মুক্তি  

১৫

বিয়ে নিয়ে যা বললেন রাশমিকা মান্দানা

১৬

জানা গেল কখন লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

১৭

ট্রাক্টর উল্টে একই পরিবারের ৩ নারী নিহত

১৮

প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকানো ছিল ২ কোটি টাকার স্বর্ণ

১৯

পুকুরে ভাসছিল গলা ও পা বাঁধা বৃদ্ধার মরদেহ

২০
X