বঙ্গোপসাগর দুদিনের ব্যবধানে আবারও নিম্নচাপে উত্তাল হয়ে পড়েছে। এতে জেলেরা সাগরে টিকতে না পেরে শূন্য হাতেই ট্রলার নিয়ে উপকূলের দিকে ফিরে আসতে হচ্ছে।
৬৫ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা বুক ভরা আশা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গেলেও পরপর কয়েকবার নিম্নচাপে তাদের ফিরে আসতে হয়েছে। খালি হাতে জেলেরা ঘাটে ফেরায় হতাশা বিরাজ করছে ট্রলার মালিকদের মধ্যে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে সরজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরে জেলারা টিকতে না পেরে শত শত জেলেরা ঘাটে ফিরে এসেছেন। সাগরে যাওয়ার দুদিনের মাথায় আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় শূন্য হাতে ঘাটে ফিরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন টলার মালিক ও জেলেরা। এতে বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কায় তারা। এদিকে মাছ না পাওয়ায় বিএফডিসি মৎস্য ঘাট এবং মাছের আড়তগুলো জমে উঠছে না।
সাগর উত্তাল দেখে ঘাটে ফিরে আসা মো. জামাল হোসেন নামের একজন মাঝি বলেন, আমরা গত ১০ সেপ্টেম্বর সাগরে গিয়েছিলাম। বরফ, তেল ও বাজারসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার রসদ নিয়ে সাগরে যাবার পরের দিনই সাগর উত্তাল হয়ে পড়ে। লোকসানের কথা চিন্তা করে প্রথমে থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ক্রমেই সাগর বেশি উত্তাল হলে জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গতরাতে ঘাটে ফিরে এসেছি। আবহাওয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত আমরা উপকূলেই থাকব।
আলাউদ্দিন হাফেজ-৩ ট্রলারের মালিক মো. মাসুম কোম্পানি বলেন, যে হারে মালামালের দাম বাড়ছে তাতে আস্তে আস্তে এই পেশা পরিবর্তন করতে হবে। কারণ পূর্বে ২ লাখ বা আড়াই লাখ টাকায় যে বাজার করা যেত তা এখন বেড়ে ৪, ৫ লাখ টাকায় করতে হয়।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধের পর এই তিনবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা বারবার লোকশনের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এ রকম চলতে থাকলে ধীরে ধীরে এই পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন