কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কামারখন্দে গাম্বুরা ভাইরাসে মারা গেল ৫ হাজার মুরগি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে একটি খামারে গাম্বুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুরগি। ছবি : কালবেলা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে একটি খামারে গাম্বুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুরগি। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি মুরগির খামারে গাম্বুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত তিন দিনে পাঁচ হাজার সোনালি জাতের মুরগি মরে গেছে। এতে মুরগির খামারের মালিক আব্দুর রাজ্জাক নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের খামারের মালিক প্রবাস ফেরত আব্দুর রাজ্জাকের খামারে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

জানা যায়, প্রবাসের জীবন শেষে গ্রামের বাড়িতে এসে নিজের জমির ওপর আব্দুর রাজ্জাক মুরগির খামার করেন। খামারের ব্যবসায় দিনকাল তার ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার খামারে থাকা সাড়ে সাত হাজার মুরগির মধ্যে পাঁচ হাজার সোনালি জাতের মুরগী মারা যায়। এতে তার প্রায় ১৩-১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খামারি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে দেশে এসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এই খামারটি গড়ে তুলি। ২০২২ সাল থেকে খামারে মুরগির ব্যবসা করে আসছি। এ পর্যন্ত ৪-৫ বার খামারে মুরগি তুলে তা বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এবার আমার প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তা পূরণ করতে আমার সারাজীবন লেগে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এ বছরের ২য় ধাপে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মুরগির বাচ্চা দিয়ে শুরু করা খামারে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক জামতৈল শাখা থেকে ১১ লাখ টাকা লোন নিয়েছিলাম। দীর্ঘ ৪ মাস মুরগি লালন-পালন করার পর এক একটা মুরগির ওজন হয়েছিল প্রায় এক থেকে দেড় কেজি।

এ মুরগিগুলো অল্পদিনের মধ্যেই বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার মুরগি মারা যায় এবং বাকি মুরগিগুলো খুব অল্প দামে স্থানীয় বাজারে এবং ঢাকায় বিক্রি করি। এখন আমি কিস্তি দিব কিভাবে আর ব্যবসা করব কিভাবে এটা ভেবে পাচ্ছি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদের ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উপজেলার অনেক খামারি আছেন যারা ডিলারদের কথামতো খামার করেন, আমাদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করেন না। খামারে মুরগি অসুস্থ হলে ওনারা ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ খাওয়ান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসেও আসেন না খামারিরা। এজন্য অনেক সময় আমরাও বুঝতে পারি না কোথায় কখন কি হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, এ ব্যাপারে খামারি আমাদের জানাননি। আমরা আজকে জানতে পেরে সেখানে লোক পাঠিয়েছি। মুরগি মারা যাওয়ার কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

ভারতে দুই বাংলাদেশিসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন

লেস্টার স্কয়ারে শাহরুখ-কাজলের ভাস্কর্য

ভূমি কর্মকর্তার ‘ঘুষ’ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া পেছাল, নতুন তারিখ নির্ধারণ

স্ত্রী নাকফুল না পরলে স্বামীর হায়াত কমে যায়, কথাটি কি সঠিক?

ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল চাচা-ভাতিজার

শুক্রবারে মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ হয়?

ভালোবাসার বন্ধন

ভারতে শত শত ফ্লাইট বাতিল, ২০ বছরের রেকর্ড

১০

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

১১

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১২

কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া

১৩

আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, হতে পারে শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড়

১৪

চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত

১৫

যুক্তরাষ্ট্রকে তুলাধুনা করলেন পুতিন

১৬

খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব সুবিধা আছে

১৭

তেঁতুলিয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা

১৮

কলেজছাত্রের মৃত্যুর খবরে হাসপাতাল অবরুদ্ধ ও ভাঙচুর

১৯

ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বয়কট ৪ দেশের

২০
X