রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কামারখন্দে গাম্বুরা ভাইরাসে মারা গেল ৫ হাজার মুরগি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে একটি খামারে গাম্বুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুরগি। ছবি : কালবেলা
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে একটি খামারে গাম্বুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুরগি। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি মুরগির খামারে গাম্বুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত তিন দিনে পাঁচ হাজার সোনালি জাতের মুরগি মরে গেছে। এতে মুরগির খামারের মালিক আব্দুর রাজ্জাক নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের খামারের মালিক প্রবাস ফেরত আব্দুর রাজ্জাকের খামারে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

জানা যায়, প্রবাসের জীবন শেষে গ্রামের বাড়িতে এসে নিজের জমির ওপর আব্দুর রাজ্জাক মুরগির খামার করেন। খামারের ব্যবসায় দিনকাল তার ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতিবার খামারে থাকা সাড়ে সাত হাজার মুরগির মধ্যে পাঁচ হাজার সোনালি জাতের মুরগী মারা যায়। এতে তার প্রায় ১৩-১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খামারি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে দেশে এসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এই খামারটি গড়ে তুলি। ২০২২ সাল থেকে খামারে মুরগির ব্যবসা করে আসছি। এ পর্যন্ত ৪-৫ বার খামারে মুরগি তুলে তা বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এবার আমার প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তা পূরণ করতে আমার সারাজীবন লেগে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এ বছরের ২য় ধাপে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মুরগির বাচ্চা দিয়ে শুরু করা খামারে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক জামতৈল শাখা থেকে ১১ লাখ টাকা লোন নিয়েছিলাম। দীর্ঘ ৪ মাস মুরগি লালন-পালন করার পর এক একটা মুরগির ওজন হয়েছিল প্রায় এক থেকে দেড় কেজি।

এ মুরগিগুলো অল্পদিনের মধ্যেই বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার মুরগি মারা যায় এবং বাকি মুরগিগুলো খুব অল্প দামে স্থানীয় বাজারে এবং ঢাকায় বিক্রি করি। এখন আমি কিস্তি দিব কিভাবে আর ব্যবসা করব কিভাবে এটা ভেবে পাচ্ছি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদের ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উপজেলার অনেক খামারি আছেন যারা ডিলারদের কথামতো খামার করেন, আমাদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করেন না। খামারে মুরগি অসুস্থ হলে ওনারা ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ খাওয়ান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসেও আসেন না খামারিরা। এজন্য অনেক সময় আমরাও বুঝতে পারি না কোথায় কখন কি হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, এ ব্যাপারে খামারি আমাদের জানাননি। আমরা আজকে জানতে পেরে সেখানে লোক পাঠিয়েছি। মুরগি মারা যাওয়ার কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোহাগ হত্যায় কীভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় জানাল ডিএমপি

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

বোমাবাজি করে বিএনপিকে দমানো যাবে না: রিজভী

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বন্ধ সড়ক, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ 

তরুণ প্রজন্ম কোন নির্বাচনী ভাগ বাটোয়ারায় বিশ্বাস করে না : নাহিদ

ফেনীর বন্যা ঠেকাতে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতনকাঠামো

জিপিএ ৫ না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের মেয়ের আত্মহত্যা

মিটফোর্ডের নৃশংসতা সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ : সাকি

কমোডে ফ্ল্যাশ করে স্ত্রীর লাশ গুমের চেষ্টা, স্বামী গ্রেপ্তার

১০

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযানের সিদ্ধান্ত

১১

মহাসড়ক তো নয়, যেন মহাযন্ত্রণা

১২

মিটফোর্ডের সামনে হত্যাকাণ্ড / সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

১৩

মানিকগঞ্জের সেই বিএনপি নেতাকে আজীবন বহিষ্কার

১৪

এসিআই ফার্মা বিজনেসের বার্ষিক বিপণন ও বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

১৬

ডাবল বাগেল দিয়ে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন শিয়নতেক

১৭

চায়ের আড্ডায় গিয়ে ‘ঝামেলায়’ সাবেক মন্ত্রী মান্নান

১৮

জমকালো আয়োজনে এনবিএর বার্ষিক সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

১৯

মিরপুরে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে অনুশীলনে আফিফরা

২০
X