পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় কীভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য না ছড়ানোর ও আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৯ জুলাই ২০২৫ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা সম্পর্কে বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ মূল অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে হেফাজতে নেয় এবং তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ঘটনার সাথে জড়িত তারেক রহমান রবিনকেও গ্রেপ্তার করে। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এসব তথ্য পুলিশি তদন্তের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এতে আরও বলা হয়, উক্ত ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে নানা ধরনের অপতথ্য ছড়াচ্ছেন যা মোটেই কাম্য নয়। এমতাবস্থায় উক্ত ঘটনা সম্পর্কে কোনরূপ অপতথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের ওপর আস্থা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
ডিএমপি জানিয়েছে, উক্ত ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা যে দল বা মতের লোকই হোক না তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন