চট্টগ্রামের মিরসরাই-নারায়ণহাট-ফটিকছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়ক টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত কারী সাধারণ মানুষ।
গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ঝরঝরি মাজার সংলগ্ন চার রাস্তার কোপ এলাকায় পাহাড় ধসে সড়কের উপর মাটি পড়ে পাঁচ দিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে এ সড়ক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মিরসরাই নারায়ণহাট-ফটিকছড়ি অভ্যন্তরীণ সড়কে টানা বৃষ্টিতে ঝরঝরি মাজার সংলগ্ন চার রাস্তার কোপ এলাকায় পাহাড় ধসে বন্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর মোটরসাইকেল থেমে থেমে চলাচল করছে। যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে ঠেলে ঠেলে এটি পার হচ্ছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এছাড়া পুরো সড়কের বেশকিছু অংশে বৃষ্টির কারণে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু অংশে জমে আছে পানি। এছাড়া ছোট ছোট বেইলী ব্রিজগুলোর নিচে বালি বোঝাই বাধ সরে গিয়ে সড়ক ধসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মিরসরাই-নারায়ণহাট-ফটিকছড়ি উপজেলায় যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়ক এটি। প্রতিদিন সিএনজি, বাইক, মালবাহী বিভিন্ন গাড়িসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক গাড়ি চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। এখানে পাহাড়ের বেশকিছু এলাকায় চাষ হয় লেবু। এখানকার লেবু, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের নানাপ্রান্তে বিক্রির উদ্দেশে নেওয়া হয়। রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে লেবু তোলা বন্ধ রেখেছেন চাষীরা।
লেবুচাষী আলা উদ্দিন বলেন, গত ৫ দিন পার হয়ে গেলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকদের দেখা মেলেনি। অন্যদেশ হলে সঙ্গে সঙ্গে এটির সমাধান করে ফেলতো। কিন্তু আজ ৫ দিন অতিবাহিত হচ্ছে কিন্তু এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের এমন বিপজ্জনক অবস্থার সমাধানে কারো নজর নেই। দ্রুত আমরা এটির সমাধান চাই।
সিএনজি যাত্রী শামসুল হক বলেন, আমি প্রায় এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। বৃষ্টির দিনে এমন ঘটনা নতুন নয়। আজ পাঁচ দিন এখানে পাহাড় ধসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত মাটি সরানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
মোটরসাইকেল চালক কামরুল হাসান শামীম বলেন, এদেশে কোনো সিস্টেম নেই। এভাবে একটি সড়ক আজ কয়েকদিন যাবত পাহাড় ধসে বন্ধ হয়ে আছে৷ কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়াশব্দ নেই৷ ঘুরেফিরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শিকার।
যোগাযোগ করা হলে সীতাকুন্ড-ফটিকছড়ি (অতিরিক্ত) সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান কালবেলাকে বলেন, পাঁচ দিনের বিষয়টি সঠিক নয়, তিন দিন বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বৃষ্টির জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। আজকে রাতে এস্কেভেটর গিয়ে পৌঁছাবে। রোববার সকাল থেকে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন