কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সমুদ্রসৈকতে ‘নারীকে’ হেনস্তা

অভিযুক্ত যুবকের নাম ফারুকুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবকের নাম ফারুকুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এক নারীকে কান ধরে ওঠবস ও মারধর করার অভিযোগে এক যুবককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ওসি জাবেদ মাহমুদ। অভিযুক্ত যুবক ফারুকুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার বাসিন্দা।

জাবেদ মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি একদল যুবক কক্সবাজার সৈকতে এক নারীকে কান ধরে ওঠবস করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে চারদিকে সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফারুকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নারীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করাচ্ছে একদল যুবক। ভুক্তভোগী নারী কানে হাত দিয়ে ওঠবস করতে অপারগতা প্রকাশ করলে উপস্থিত অনেক যুবক লাঠি দিয়ে ওই নারীকে একাধিকবার আঘাত করেন। সেই লাঠির আঘাত থেকে রক্ষা পেতে ভুক্তভোগী নারী কান ধরে ওঠবস করেন। শুধু তাই নয়, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনতা ওই নারীর কান ধরে ওঠবসের গণনাও করছিলেন। আর নারীকে মারধরের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করতে থাকে। নারীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোনও। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সামনেও ওই নারীকে হেনস্তা করেছে যুবকরা। এ সময় এক নারীকে বলতে শোনা যায় 'আমার মোবাইল দিয়ে দেন, ওখানে আমার সব ডকুমেন্টস। আমি এখনই চলে যাব, আমি আর কক্সবাজার আসব না।’

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে চারদিকে। অনেকে বলছেন, 'কক্সবাজার কেউ হজ করতে আসে না। এটি পর্যটন এলাকা। এভাবে পর্যটক হেনস্তার শিকার হলে প্রভাব পড়বে পর্যটনশিল্পের উপর।

তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, কানধরে যাকে ওঠবস করানো হচ্ছে সে মেয়ে নয় তৃতীয় লিঙ্গ।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, এটা মেয়ে নয়, তৃতীয় লিঙ্গ। ওই দিন রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নামে কিছু যুবক পুলিশের অগোচরে সৈকতে এমন কাণ্ড করেছে। আরেক মেয়ের কাছ থেকে একটি মোবাইলও ছিনিয়ে নিয়েছে। পরে মোবাইলটা উদ্ধার করে মেয়েকে ফেরত দিয়েছে পুলিশ। তবে এভাবে আইন হাতে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। তারা পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারত। পুলিশকে না জানিয়ে এমন ঘটনা আইনগত অপরাধ। বিষয়টি জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে কাউকে আটকের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এক ইলিশের দাম ৬৮০০ টাকা

বরিশালে ভুয়া চিকিৎসককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেপ্তার ৩

ব্রাজিলে ভয়াবহ ভূমিধস, ২০০ মানুষ আটকে পড়ার আশঙ্কা

শেখ হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

যশোরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে যুবককে হত্যা

একাধিক জনবল নেবে বেপজা

ঢাবি উপাচার্যের জগন্নাথ হল পূজামণ্ডপ পরিদর্শন

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ওমেরা এলপিজি

সমাবেশে বিএনপি নেতা ফারুক / মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালাল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন

১০

সেই উর্মির বিরুদ্ধে মামলা

১১

দুর্ঘটনার কবলে ইমরান হাশমী

১২

স্বাধীনভাবে বাঁচতে বিয়েতে অনীহা মিমির 

১৩

কোথায় আছেন হাসিনা, জানালেন জয়

১৪

আবারও ইসরায়েলে হামলা করতে পারে ইরান

১৫

সাবেক সতীর্থকে নিয়ে মেসির আবেগী বার্তা

১৬

এবার ৪৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন

১৭

বিএনপি নেতা টিপুর দলীয় পদ স্থগিত

১৮

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান হাসপাতালে

১৯

মিলছে টানা ৪ দিনের ছুটি

২০
X