বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন শরিফ মনিরের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামের করতোয়া ক্রীড়া সংঘ নামের একটি ক্লাবের সাবেক সভাপতি।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে সংগঠনের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে তার নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন করতোয়া ক্রীড়া সংঘের বর্তমান সভাপতি মাহমুদ হাসান মুরাদ।
মুরাদ জানান, তিনি করতোয়া ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক এবং হোসেন শরিফ মনির সভাপতি ছিলেন। অগ্রণী ব্যাংক সেনানিবাস শাখায় তাদের যৌথ স্বাক্ষরে ক্লাবের হিসাব পরিচালনা হয়ে আসছিল। সম্প্রতি বগুড়া-ঢাকা মহাসড়ক সম্প্রসারণ কাজে করতোয়া ক্রীড়া সংঘের জায়গাসহ স্থাপনা সরকার অধিগ্রহণ করেন। অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৩০ টাকা গত ১৩ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংক সেনানিবাস শাখায় ক্লাবের হিসাব নম্বরে স্থানান্তর হয়। ক্লাবের সভাপতি হোসেন শরিফ মনির ওই দিনই সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করে তার ব্যক্তিগত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাফিম স্যানেটারির হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করেন।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন ব্যাংকে খোঁজ নিতে গেলে তার স্বাক্ষর জাল করে টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে মিটিং ডেকে সভাপতি পদ থেকে হোসেন শরিফ মনিরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পরে হোসেন শরিফ মনির টাকা ফেরত দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ কারণে ২ আগস্ট শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও করতোয়া ক্রীড়া সংঘের সাবেক সভাপতি হোসেন শরিফ মনির বলেন, ‘আমি সংগঠনের অনেকের কাছে টাকা পাই। তারা আমার সঙ্গে হিসাবে না বসার কারণে ৩০ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছি। আমার নামে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাকে থানায় ডাকা হয়েছে, সেখানে আমার বক্তব্য জানাব।’
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের জন্য হোসেন শরিফ মনিরকে থানায় ডাকা হয়েছে।
মন্তব্য করুন