

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় মাদারতলা খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ৫ নম্বর বড়ইয়া ইউনিয়নের আরুয়া সোনারগাঁও গ্রামের জে. কে. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের অংশের খালে খুঁটি গেড়ে বালু ফেলে এ রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, আরুয়া গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার কৃষিকাজে এ খালের পানি ব্যবহার করেন। খালটি দখল হয়ে গেলে চাষাবাদ অনিশ্চয়তায় পড়বে।
জাঙ্গালিয়া নদী থেকে প্রবাহমান প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি আরুয়া সোনারগাঁও গ্রাম হয়ে পাশের কয়েকটি গ্রামে বিস্তৃত।
খালটির দু’পাশে কয়েকটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবারের বাস। এ গ্রামের অধিকাংশ কৃষক সেচের জন্য মাদারতলা খালের ওপর নির্ভর করেন। জেলেরাও খাল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া পণ্য যোগাযোগে খালটি ব্যবহার হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এইচএম জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘খালটি এলাকার প্রভাবশালী সরোয়ার খান নামের এক লোক ভরাটের মাধ্যমে দখল করছেন। খাল পাড়ের এসব অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে এবং খালটি খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনলে এলাকার কৃষিকাজের আরও সুবিধা হবে।’
স্থানীয় কৃষক আলী হাওলাদার জানান, দখলকারীদের কারণে এ খালটির করুণ দশা। এখন যে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে তা ঠেকানো না গেলে ভবিষ্যতে কৃষিকাজে বাধা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সরোয়ার খান বলেন, ‘আমি গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরি করছি। সরকারি খাল ভরাট করিনি।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, ‘খালটি এলাকার কৃষকরা কৃষিকাজে শত বছরের বেশি সময় ব্যবহার করছেন। সরকারি খাল ভরাট করা উচিত হয়নি। আমি মৎস্য অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান খান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব।’
মন্তব্য করুন