মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া রশকাটি পদ্মা শাখা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া পিকনিকের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া ট্রলারে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখনও আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার (৬ আগস্ট) সকালে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবদুল মতিন।
এ ছাড়া এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে নিহত পরিবারকে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের কয়েকটি পরিবারের ৪৬ জন ট্রলার নিয়ে পদ্মা নদীতে ঘুরতে যায়। পদ্মায় ঘোরাঘুরি শেষে খিদিরপাড়া পদ্মা শাখা নদী দিয়ে রাত ৮টার দিকে বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ করে বেপরোয়া বালুবাহী বাল্কহেড এসে ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে গেলে ৩৪ জনের মতো লোক সাঁতরে তীরে এলে বাকিরা পানিতে তলিয়ে যায়। এদের মধ্যে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এ ঘটনায় সাতজন সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
তারা হলেন হ্যাপি আক্তার (২৮), তার বোন পপি আক্তার (২৬), রাকিব (১২), তার ভাই সাকিব (৮), মোকসেদা (৪০), সাজিবুল (৫) ও ফারিহান (১০)।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ তিনটি ডুবুরিদল গতকাল শনিবার রাত থেকে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, আটজনের নিহতের তথ্যটা ঠিক নয়। রাত থেকে এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও তিনজন। বাল্কহেড মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আর বলেন, ট্রলার ডুবি ঘটনায় আমাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন