কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে’ 

কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি : কালবেলা
কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি : কালবেলা

নৌপরিবহন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, প্রস্তাবিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কারণ বঙ্গোপসাগরের এই অঞ্চল ভৌগোলিক এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অতীতে এখানে নিরাপত্তা ইস্যুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিরাপত্তা ইস্যুটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যেমন দরকার, তেমনি বাইরেরও নিরাপত্তা দরকার বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ বিশাল সাগরে এই বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশি। সাগরে অনেকের যাতায়াত তাই বন্দরের ভেতরে-বাইরের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গভীর সমুদ্র বন্দরের ১ম ফেইজের কাজ শেষ হয়েছে। ২য় ফেইজের কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ২০২৯ সাল নাগাদ মাতারবাড়ী গভীর বন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করা যেতে পারে।

উপদেষ্টা আরও জানান, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন জাইকা অর্থ জোগান দিচ্ছে। তারা গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে খুবই আন্তরিক। তারা যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে ৭টি লাইট হাউজ নির্মাণ কাজ চলছে। এগুলোও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর ফলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে সুফল পাওয়া যাবে।

নাফ নদে ড্রেজিং বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আরাকান অঞ্চলে এখনো যুদ্ধ চলমান। এ কারণে নাফ নদ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে আরাকানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আরাকানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে নাফ নদ হয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, ততদিন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল করতে হবে।

এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং কোল পাওয়ার কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি মহেশখালীতে অবস্থিত এসপিএম প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেসির জাদুতে রুদ্ধশ্বাস কামব্যাক, তবুও জয় পেল না মায়ামি

আনাস হত্যা মামলা: ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু

যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধনের সময় দুর্ঘটনায় দায়ী ৩ জনকে আটক

অটোরিকশা চালকের চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার

সন্ত্রাসী ‘ঢাকাইয়া আকবর’ মারা গেছেন

রাজধানীতে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট দুই মোটরসাইকেল আরোহী

সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে বিএসএফের গুলি

বজ্রবৃষ্টিতে ১৩ জনের মৃত্যু

কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ২ বাড়ি 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ.লীগ নেতা মুক্তা গ্রেপ্তার

১০

জাল সনদে এমপিও আবেদনে মাদ্রাসাশিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা অধিদপ্তরের

১১

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা থমকে গেল পাঁচ কারণে

১২

অ্যাশেজের টানা কনসার্ট

১৩

চবির ব্যাচ-৪২ এর সভাপতি তাহিরা মিশু, সম্পাদক আলীমুল 

১৪

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১৫

সড়কজুড়ে গর্ত, সংস্কারে উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের

১৬

গণ-অভ্যুত্থানসহ জাতীয় আন্দোলনের অনুপ্রেরণা ছিল কাজী নজরুল : রিজভী

১৭

সৌদি পৌঁছেছেন ৫৯ হাজার ১০১ হজযাত্রী

১৮

পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার সেই নীলগাইয়ের মৃত্যু

১৯

গোপনে ভিডিও ধারণ, ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিলেন শিক্ষার্থীরা

২০
X