ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে বিদ্যালয় ল্যাবে প্রকল্পের প্রশিক্ষণ

ল্যাব দখল করে প্রকল্পের প্রশিক্ষণ চলছে। ছবি : কালবেলা
ল্যাব দখল করে প্রকল্পের প্রশিক্ষণ চলছে। ছবি : কালবেলা

ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দখল করে প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীরা ল্যাবে কোনো ধরনের ক্লাস করতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের ল্যাবে হাতে কলমে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার পৌরশহরের সি এম আইয়ুম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ইসলাম নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ল্যাবে প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীরা। চলতি বছরের শুরু থেকে সকাল ও বিকেল প্রশিক্ষণ চলছে ল্যাবগুলোতে। এতে ল্যাবে হাতে-কলম শিখতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। যদিও প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী ভেণ্ডর প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সি এম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসীন মীম কালবেলাকে বলেন, প্রকল্পের প্রশিক্ষণ আমাদের ল্যাবগুলোতে চলছে। আমরা এ বছরে কোনো কিছু শিখতে পারিনি। আমাদের স্যারদের অনেকবার বলেছি কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেন নি। আমাদের স্কুল জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা যে এ বছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কিছু শিখতে পারলাম না। এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদয়ালয়ের আইসিটি শিক্ষক হুমায়ুন কবির কালবেলাকে বলেন, এ বছরে আমরা ল্যাবে পাঠদান করাতে পারিনি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি হাতে কলমে শেখার বিষয়। ল্যাবগুলোতে ক্লাস না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা উচিত।

সি এম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বীপেন্দ্র নাথ ঝা কালবেলাকে বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের অবহিত করার পরে আমরা আমাদের ল্যাব প্রশিক্ষণের জন্য দিয়েছি। উনারা সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুটি শিফটে ক্লাস নেন। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি তাদেরকে জানিয়েছি।

বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য কয়েকবার ভেণ্ডর প্রতিষ্ঠান বেবিলনের সঙ্গে মুঠোফোন ও সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।

জেলার সদর উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমরা শুধু প্রশিক্ষণ তদারকি করে থাকি। বাকি সব কাজ ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান গুলো করে থাকেন। তবে শিক্ষার্থীরা যাতে ল্যাব ক্লাস থেকে বাদ না পড়েন আমরা সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাব।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা কালবেলাকে বলেন, বিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি ও প্রথম সুবিধা পাওয়ার কথা শিক্ষার্থীদের। তাদের বঞ্চিত করে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ নেই। জেলায় আমি নতুন ও বিষয়টি সবেমাত্র জানলাম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্পের ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা ও কাঁচা রাস্তা থাকবে না : কাজী আলাউদ্দিন

বিএনপিতে যোগ দিল চার শহীদ পরিবার

বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল

আমার কর্মের ওপর আমার জান্নাত নির্ভর করবে : এ্যানি

গভীর সংকটের অশনিসংকেত / আরাকান আর্মির ‘মাদক সন্ত্রাসে’র কবলে বাংলাদেশ

ফ্যাসিস্ট সরকার ১৫ বছর পরীক্ষার নামে উপহাস করেছে : ড. মারুফ

খালেদা জিয়া আইসিইউতে

সামাজিক মাধ্যমে নারীর প্রতি অশ্লীল মন্তব্যও অপরাধ : হুমা

নিরাপদ খাদ্য আইনে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

১০

অবসরে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান

১১

রিয়ালকে আল্টিমেটাম দিলেন ভিনিসিয়ুস

১২

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চলবে স্বাধীনভাবে : শেখ মো. আব্দুল্লাহ

১৩

কোন সময়ের স্বপ্ন সত্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? যা বলছেন আলেমরা

১৪

শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা

১৫

এক নেতাকে ‘সুখবর’ দিল যুবদল

১৬

বিএনপি ক্ষমতায় এলে দোহার-নবাবগঞ্জে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেন খন্দকার আবু আশফাক

১৭

ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর সতর্কবার্তা

১৮

বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখল ভারত

১৯

ব্লুটুথ হেডফোন নাকি সাধারণ হেডফোন, কোনটি ভালো জানেন?

২০
X