জলাবদ্ধতাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন শীর্ষক সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন না দুই সংস্থার প্রধান। একজন (দোভাষ) ছিলেন ঢাকায়, অন্যজন রেজাউল ছিলেন চট্টগ্রামে!
চট্টগ্রাম উন্নয়ন নিয়ে মূলত যেই দুই প্রধানের উপস্থিত থাকা জরুরি ছিল, সেই প্রধান দুটি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির বিষয়টি চোখে পড়লে প্রশাসন ও রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারা নজরে এনে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করেও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন। এটা নিয়ে নানা গুঞ্জন-আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রশাসন ও দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘উন্নয়ন’ শীর্ষক সমন্বয় সভা ও সমসাময়িক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকেও বলা হয়েছে। এতে অন্য শীর্ষ নেতারাসহ প্রশাসনের দায়িত্বশীল সবাইকে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় সবাই উপস্থিত হলেও ছিলেন না সিডিএ চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে মেয়রের এপিএস দুলাল কালবেলাকে বলেন, মেয়র মহোদয় শুক্রবার সারাদিন প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সারাদিনের প্রোগ্রাম শেষে এখন (রাত ৮টা) চট্টগ্রামের বাসায় আছেন। চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থিতির কথা জানতে চাইলে, এমন সময় তিনি ফোন কেটে দেনে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ কালবেলাকে বলেন, আমি একটু ঢাকায় এসেছি জরুরি কাজে। এই প্রোগ্রামে থাকার জন্য আমাকে ডিসি মহোদয় ফোন করেছিলেন, কিন্তু আমি ঢাকায় থাকার কারণে উপস্থিত হতে পারছি না। তবে জলাবদ্ধতার প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের যেতে বলেছি। এতে আমি চট্টগ্রামে থাকলে অন্য কাজ বাদ দিয়ে হলেও অবশ্যই উপস্থিত থাকতেন বলেও জানান তিনি।
প্রশাসন, চসিক ও তৃনমূলের নেতা-কমীরা জানান, শুক্রবারের এই উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ দায়িত্বশীল সবাইকে বলা হয়েছে। এতে গতকাল বৃহস্পতিবার এবং আজ শুক্রবারও অনেকজনকে কল করা হয়েছিল। এর মধ্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও সিডিএ চেয়ারম্যানকেও বলা হয়েছে। কিন্তু দু’জনই উপস্থিত হননি। তারা বলেন, দুপুরে চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদের মেয়ের বিয়েতে উপস্থিতসহ নানা অনুষ্ঠানে মেয়র উপস্থিত হলেও উন্নয়ন সমন্বয় সভায় কেন আসেননি সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মন্তব্য করেন, শত ব্যস্ততা বাদ দিয়ে হলেও চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সিটি মেয়রের উপস্থিত জরুরি ছিল।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নোমান আলম মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্চের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহসহ সরকারি, রাজনৈতিক অনেক নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন