রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর ওয়াপদা সড়ক

দুই দশকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

ভেঙে যাওয়া রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর ওয়াপদা সড়ক। ছবি : কালবেলা
ভেঙে যাওয়া রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর ওয়াপদা সড়ক। ছবি : কালবেলা

রামগঞ্জ শিশুপার্ক ব্রিজ চৌরাস্তা থেকে লক্ষ্মীপুর সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ওয়াপদা সড়কটি গত ২০ বছর ধরে অবহেলিত। এই সড়কের কোনো ধরনের উন্নয়ন বা মেরামত না হওয়ায় দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে এবং কোথাও কোথাও ভেঙে গিয়ে পুরো সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে।

ফলস্বরূপ, দাসপাড়া, লামচর, বেড়ি বাজার, পানপাড়া, ডাজ্ঞাতলি এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে নানাবিধ দুর্ভোগে পড়ছেন। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আর্থিক এবং শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি এই সড়কে চলাচলের অযোগ্য পরিবেশের কারণে এলাকাবাসীকে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত খরচে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বহু জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের আগে এই সড়ক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ভোটের পর তারা এলাকাবাসীর সমস্যার কোনো সমাধান করেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম রাজন, তারেক আজিজ এবং ওমর ফারুক জানান, সর্বশেষ ২০০৭ সালে সড়কটিতে নামমাত্র সংস্কারকাজ হলেও এরপর থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমানে রাস্তাটি এতটাই ভেঙে পড়েছে যে, পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

ভাঙা সড়কের কারণে এখানকার প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়েতেও সমস্যা হচ্ছে। এমনকি রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাও এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারে না। ফলে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাজ্জাদ মাহমুদ খান কালবেলাকে জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য বহুবার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন হওয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সড়কটি সংস্কারের একটি প্রস্তাব এসেছে। এতে এলাকাবাসী শিগগিরই ভালো খবর পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে সড়কটি সংস্কার না করা হলে একসময় এটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশইন বিএসএফের

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে উৎসবমুখর : প্রধান উপদেষ্টা 

পর্তুগালের জালে এক হালি গোল দিয়েও মন ভরেনি ব্রাজিলের

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া যুবশক্তির ২ নেতাকে অব্যাহতি

‘আমি আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হবো?’—প্রশ্ন বিজয়ের

ক্লান্ত ও দুর্বল লাগলে যে ৫ খাবার বাড়াবে আয়রন ও হিমোগ্লোবিন

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১২.৩ ডিগ্রি

গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনালে হাজির ১০ সেনা কর্মকর্তা

হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি

১০

সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্য আটক

১১

ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালা ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ : আতঙ্কিত ঢাকার গল্প

১২

অর্থ পাচার মামলায় ফেঁসে গেলেন নেহা শর্মা?

১৩

খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অনুপ্রেরণা : মির্জা মোস্তফা

১৪

এবার ওটিটিতে শাকিবের ডুবে যাওয়া সিনেমা

১৫

আগুনে বৃদ্ধের মৃত্যু, পুড়ল ১০ বাড়ি

১৬

তরুণ থেকে বৃদ্ধ—সবার জন‍্য রাহিতুল ইসলামের নতুন বই ‘ফ্রিল্যান্সারের আদর্শলিপি’

১৭

বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে কারা, জানাল অপটা সুপারকম্পিউটার

১৮

শতাব্দীর ভালো নির্বাচন চাই : ইসি সচিব

১৯

অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে চাচ্ছেন, ভিসা–জটিলতা এড়াতে শিক্ষার্থীদের যে নতুন নির্দেশনা

২০
X