কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম

কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা এলাকার জরাজীর্ণ ডাকঘর। ছবি : কালবেলা
কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা এলাকার জরাজীর্ণ ডাকঘর। ছবি : কালবেলা

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা এলাকার ডাকঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। লোহার রডগুলো থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। মরিচা ধরা এসব রডসহ ছাদের পলেস্তারা যে কোনো সময় মেঝেতে পড়তে পারে।

এ ছাড়া অফিসের উপকরণগুলোও পুরাতন আর ভেঙে যাওয়ায় ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায়ও ঝুঁকি নিয়ে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম চালিয়েও যাচ্ছেন সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা।

উপজেলা পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, কয়রায় ১৭টি ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস রয়েছে। এর মধ্যে ৪ নম্বর কয়রা ব্রাঞ্চ অফিসটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে নিজস্ব অফিস না থাকায় পাশের মাদ্রাসার একটি কক্ষে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা হতো। ২০১১ সালের দিকে নিজস্ব জায়গায় ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি ২০১৭ সালে একবার সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে অফিস ভবনটি। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা পড়ে থাকার পরেও সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

৪ নম্বর কয়রা ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসের ডাক পিওন মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জরাজীর্ণ এ ভবনে বসে কাজ করার মতো নয়। পলেস্তারাগুলো খসে পড়ছে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ২০১১ সালে দিকে নির্মিত এ ভবনটি ২০১৭ সালের দিকে একবার নাম মাত্র সংস্কারের কাজ করা হলেও সেটা মানসম্পন্ন নয়। বর্তমানে এখন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

পোস্ট মাস্টার মো. মহিববুল্লাহ বলেন, অফিসের অবস্থা খুবই খারাপ। পাশের মাদ্রাসার একটি কক্ষে বসে অফিসের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। খুব কষ্ট করে চাকরির স্বার্থে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি।

পোস্ট অফিসের উদ্যোক্তা সালাহউদ্দীন (মুকুল) বলেন, অফিসের সব আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সকল যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সেগুলো দিয়ে কাজ করা যায় না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার বলার পরেও সেগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

কয়রা উপজেলা পোস্ট মাস্টার মো. অলিউর রহমান বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে এসে বিভিন্ন অফিসের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। আমরা ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসের জরাজীর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে পাঠিয়েছি। নির্দেশনা পেলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

খুলনা বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মিরাজুল হক কালবেলাকে বলেন, ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসের ভবনগুলো প্রজেক্টের মাধ্যমে হয়। এর আগে গ্রামীণ ডাকঘর নির্মাণ নামে প্রকল্প ছিল কিন্তু নতুন কোনো প্রকল্প এই মুহূর্তে আমাদের নাই। প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে নতুন প্রকল্প পাস হলে ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসগুলোর সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অতঃপর...

বিশ্ব হাতি দিবসে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা : হাতি সংরক্ষণে বড় উদ্যোগ

মালয়েশিয়ায় ২৪ লাখ কলিং ভিসার খবরে বিভ্রান্তি

নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ হয়ে যাওয়া কি নেককার হওয়ার লক্ষণ?

এটা দেখে আমাদের সবারই লজ্জা হওয়া উচিত : মুশফিক

হঠাৎ আইসিসি র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ রোহিত-কোহলি!

এক দিনে ৩ শতাধিক ব্যাংক কর্মীকে ছাঁটাই

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা নেদারল্যান্ডসের

২৫ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ

ভোটকন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ কবে, জানাল ইসি

১০

এবার ৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ

১১

সিলেটের সাদা পাথরকাণ্ডে ১০ সুপারিশ

১২

পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবেন প্রবাসীরা

১৩

রুমায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজন আটক

১৪

দোকানে গেলেই মিলবে একাকিত্ব দূর করার উপায়    

১৫

বিচারক-রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১৬

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বেকারত্ব দূর করতে ব্যর্থ : শিবির সেক্রেটারি

১৭

জাতীয় নারী ফুটবলার সাগরিকার বাড়িতে চুরি

১৮

বোরকা পরা ছাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখানোকে ঘিরে বিতর্ক

১৯

উদ্বেগ জানালেন আজহারি

২০
X