নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর মুজিববর্ষে উপহার পাওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিক্রি হওয়া ঘর উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক কালবেলাসহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তরা তাদের বিক্রি করা ঘর ফেরত নিয়ে এখন নিজেরাই বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে প্রকৃত বরাদ্দ পাওয়া পরিবারগুলোকে ঘরে তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিমলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আকতার, ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) গোলাম রব্বানী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের কেল্লাপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫০টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছিল। এই ৫০টি ঘর থেকে ১১টি ঘর বিক্রি করে দিয়েছিলেন সুবিধাভোগী পরিবারগণ। যারা কিনেছিলেন তারা ওই ঘরগুলোতে বসবাস করছিলেন। এ নিয়ে গত ১১ই আগস্ট ‘দৈনিক কালবেলায়’ প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর বিক্রির হিড়িক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়।
ঝুনাগাছ ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে এখন প্রকৃত বরাদ্দপ্রাপ্তরা বসবাস করছেন। যারা ঘর কিনেছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রির সঙ্গে কোনো চক্র বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যে উপকারভোগীরা এই ঘরগুলো বিক্রি করেছেন তারা ঘর ফেরত নিয়েছেন। তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুবিধাভোগী পরিবারকে ঘরে তুলে দিতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন