বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫২ এএম
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও পড়াশোনা অনিশ্চিত শয়নের

শয়ন কুমার। ছবি : সংগৃহীত
শয়ন কুমার। ছবি : সংগৃহীত

সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন দরিদ্র পরিবারের ছেলে শয়ন কুমার। কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশোনা চালানোয় অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, শয়ন এবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। তিনি কাহালু উপজেলার নারহট্র ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের নরসুন্দর সঞ্জয় কুমার দাসের ছেলে।

নিজস্ব কোনো জায়গা-জমি না থাকায় দেড়যুগ ধরে শয়নের বাবা সঞ্জয় কুমার পরিবার-পরিজন নিয়ে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। সেখানে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে নরসুন্দরের কাজ করে খেয়ে-না খেয়ে সংসারের ঘানি টেনে চলেছেন। সামান্য আয়ে ধার-কর্জ করে এক ছেলে ও এক মেয়ের পড়াশোনার খরচ কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

শয়নের মা শিপ্রা দেবী বলেন, সংসারে টানাপোড়েন থাকায় কোনো দিন দুবেলা খাবার জোটে, আবার কোনো দিন একবেলা না খেয়ে তাদের দিন কাটে। তার ওপর স্বামী সঞ্জয় সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় দীর্ঘদিন কাজ করতে পারছেন না।

তিনি জানান, ছেলেকে তারা তেমন প্রাইভেট শিক্ষক দিতে পারেননি। সে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী হওয়ায় এবং প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি দিয়ে আজ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মঙ্গলবার থেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মানুষের কাছে হাত পেতে ধার করে ছেলেকে ভর্তির করাবেন তারা। তিনি সবার কাছে ছেলের জন্য আশীর্বাদ কামনাসহ তার লেখাপড়া যাতে চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য সমাজের বিত্তবানদের সহায়তার হাত বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন।

শয়নের বাবা সঞ্জয় কুমার জানান, সেলুনের কাজ করে যে টাকা তিনি রোজগার করেন তা দিয়ে তার সংসারের খরচ চলে না। এ ক্ষেত্রে তার কিছু গ্রাহক শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে কিছুটা সহায়তা করেন। আর বাকিটা তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার করে কোনোমতে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। তার স্ত্রী শিপ্রা এর আগে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে আয়ার কাজ করলেও অসুস্থতার কারণে আর করতে পারেন না। তিনি ছেলে শয়নের ডাক্তার হওয়া পর্যন্ত সহায়তার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।

ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়া এলাকার বাসিন্দা নওগাঁর বদলগাছির বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শেখ জানান, আর্থিক অনটনের মাঝেও সঞ্জয় খুব কষ্ট করে তার ছেলে শয়নকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। তার পরিবারের দৈন্যদশা তিনি কাছে থেকে দেখেছেন। তিনি শয়নের মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য আর্থিক ও মানবিক সহায়তার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেবিন ক্রুদের আসল কাজ কী

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বড় সুখবর দিল সরকার

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে এবার আইপিএলে কাজ করা অ্যানালিস্ট

আমরা লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে : নেতানিয়াহু

৩ প্যাকেট কাঁচা নুডলস খেয়ে ১৩ বছরের কিশোরের করুণ পরিণতি

তিস্তার বন্যায় কৃষকের স্বপ্ন ভাসছে অনিশ্চয়তার অথৈ জলে

ব্যাংকিং টিপস / ব্যাংকের সুদের হার ও চার্জ সম্পর্কে সচেতন থাকুন

শতভাগ লুটপাটমুক্ত দল জামায়াতে ইসলামী : ড. মোবারক

মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে এসে মারা গেলেন ছেলেও

১০

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১১

সিঙ্গারে চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

১২

মেসিহীন মায়ামিকে বাঁচাল রদ্রিগেজের দুর্দান্ত গোল

১৩

গাজায় যেভাবে দুর্ভিক্ষ নেমে এলো

১৪

লেভান্তের মাঠে বার্সার রোমাঞ্চকর জয়

১৫

যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১৬

আকিজ গ্রুপে চাকরি, বেতন ছাড়াও থাকবে নানা সুবিধা 

১৭

বাগেরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

১৮

যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করছে ভারত

১৯

২৪ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

২০
X