কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দুর্ঘটনায় চিকিৎসক অর্ঘ্যের মৃত্যুর পর চলে গেলেন তার বাগ্‌দত্তাও

চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল ও তার বাগ্‌দত্তা প্রতিভা সরকার।  ছবি : সংগৃহীত
চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল ও তার বাগ্‌দত্তা প্রতিভা সরকার। ছবি : সংগৃহীত

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পপুলার মেডিকেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিভা সরকার মারা গেছেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রতিভা সরকার (২১) সাতক্ষীরার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বিপ্রজিৎ সরকার ও তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের প্রধান সহকারী দেবকী রায় দম্পতির মেয়ে। তারা তালা উপজেলা সদরে ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামে।

জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনামুর মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের আরোহী প্রতিভা সরকার গুরুতর আহত হন। মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল (২৬), যার সঙ্গে প্রতিভার বাগ্‌দান হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই অর্ঘ্য নিহত হন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডলের সঙ্গে প্রতিভা সরকারের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের তারিখ ছিল আগামী ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি অর্ঘ্যের এক জেঠা (বাবার চাচাতো ভাই) মারা যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে পারিবারিকভাবে তারিখ পরে ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়। মৃত জেঠার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাড়িতে আসছিলেন অর্ঘ্য। বাগ্‌দত্তা প্রতিভাও ছিলেন তার সঙ্গে। ইচ্ছা ছিল, ৩১ জানুয়ারি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে সবাই বসে তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করবেন।

নিহত অর্ঘ্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সদরের চণ্ডীপুর গ্রামের অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও মিনতি রানী মণ্ডল দম্পতির ছেলে। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর তারকানাথ বিদ্যাপীঠের ক্রীড়াশিক্ষক। অর্ঘ্য মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামে।

প্রতিভার বাবা বিপ্রজিৎ সরকার বলেন, অর্ঘ্য ও প্রতিভা ৩০ জুন ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথে গোপালগঞ্জে তারা দুর্ঘটনায় পড়েন। ঘটনাস্থলে মারা যান অর্ঘ্য। প্রতিভাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শনিবার তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রতিভার মরদেহ রাত ১০টার দিকে তালায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে রাত ১২টায় মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়ে গ্রামে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রামের শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শঙ্খের ভাঙনে বিলীন ধানি জমি, আতঙ্কে উপকূলবাসীরা

টোকিওর হোটেলগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

পাক-ভারত উত্তেজনায় স্থগিত হলো আইপিএল

গাছের ‘তেলে’ দৌড়াল ইঞ্জিন

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মঞ্চে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ক্ষেপণাস্ত্র চালাল উত্তর কোরিয়া

জবি ম্যাথ ক্লাবের দায়িত্বে সিফাত ও নয়ন  

পরোয়ানা নিয়ে সাজেদুলের বাড়ি যাওয়া এসআই প্রত্যাহার

যুদ্ধ পাকিস্তান শুরু করেছে দাবি শেবাগের

যমুনার চরে ফসলের বিপ্লব

১০

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এখন জিয়া মঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ পদে

১১

রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিটে’ খেপেছে যুক্তরাজ্য

১২

৩০ ভারতীয় কামিকাজে ড্রোন ভূপাতিত, নিহত ২

১৩

বোমা আতঙ্কে কাঁপছিলেন আইপিএল চিয়ারলিডার, ভিডিও ভাইরাল

১৪

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ 

১৫

ভয়ে ভারত ছাড়তে চাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা

১৬

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো পিএসএল

১৭

আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

১৮

যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে আ.লীগ নিষিদ্ধের মঞ্চ

১৯

বিমানে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে ট্রাম্প প্রশাসন

২০
X