অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। খালেদা জিয়াকে রেখে দেশে কোনো একতরফা নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বারবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। দেশে তার সুচিকিৎসা সম্ভব নয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রেখেছে। তারা এখন বেগম জিয়াকে ছাড়া দেশে একতরফা নীশিরাতের আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে।
গতকাল শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত সবাবেশে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণবিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আহমদ, সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ও নির্যাতিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু গুরুতর অসুস্থ থাকা অবস্থায়ও সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। শুধু বেগম জিয়াই নন, দেশের সাধারণ মানুষ আজ নির্যাতিত। দেশবাসী নিজেদের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা না হলে দেশ এই সংকট থেকে মুক্ত হবে না।
এ সময় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, শহিদ আহমদ (চেয়ারম্যান), সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব প্রমুখ।
পদযাত্রা কর্মসূচিটি রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সোবহানীঘাট পয়েন্ট গিয়ে শেষ হয়। এতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনতা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন