সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাংয়ে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকসহ বেইলি সেতু ভেঙে পড়েছে। ট্রাকে থাকা চালকসহ তিন শ্রমিকের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্য আরেক শ্রমিকের লাশ নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে সেতু ভেঙে যাওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকরা ঘটনার জন্য সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেছে।
সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সেতুতে ওঠার আগে ১০ টনের অধিক বহন নিষিদ্ধের সাইনবোর্ড রয়েছে, কিন্তু ৫০০ ব্যাগ সিমেন্টসহ ৩০ টনের অধিক ওজনের ট্রাক ওঠায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫০০ বস্তা সিমেন্টসহ জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে আসার সময় জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ইছগাঁওয়ের পাশের কাঁটাগাঙে স্টিলের বেইলি সেতুতে উঠতেই সেতু ভেঙে ট্রাকটি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনায় চালকসহ ট্রাকে থাকা তিনজনই ট্রাকের সঙ্গে ডুবে যায়। দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় চালক ফারুক মিয়া (৪০) ও শ্রমিক জাকির মিয়ার (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ফারুকের বাড়ি সিলেটের ভোলাগঞ্জে। আর জাকিরের বাড়ি সিলেটের তোফাকুল এলাকায়।
উপজেলা পরিবহন শ্রমিক নেতা নিজামুল করিম জানান, আঞ্চলিক এ মহাসড়ক চালুর পর থেকেই বাড়ছে গাড়ির চাপ। ৫২ কিলোমিটার পথ কমায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য জেলা শহরে আসছে এই পথ দিয়েই। কাঁটাগাঙ্গের সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চালু রাখার কারণে প্রায়ই যান চলাচলে সমস্যা হতো। এখন ভেঙে যাওয়ায় ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রাং জানালেন, ৫০০ ব্যাগ সিমেন্টসহ কমপক্ষে ৩০ টন ওজনের ট্রাকটি বেইলি সেতুতে উঠার সময় ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। ওখানে ১০ টনের বেশি উঠতে বারণ করে লেখা সাইনবোর্ড আছে। পুলিশকেও বিষয়টি জানানো আছে। এই সেতুর পাশ দিয়ে আরেকটি আরসিসি সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এজন্য বেইলি সেতুটি মজবুত করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন