ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলাজুড়ে পুরোদমে চলছে রোপা-আমন ধান রোপণের কাজ। এতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার পাচঁটি ইউনিয়নের ধান চাষিরা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রোপণ শেষ হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার।
তারা জানায়, সব ইউনিয়নের অধিকাংশ জমিতে ধান রোপণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে ৯০ ভাগ। আর কয়েকদিনের মধ্যে বাকি ১০ ভাগ জমিতে ধান রোপণ শেষ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর চলতি মৌসুমে এবারের আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে। মলংচড়া ইউনিয়ন-১০২০ হেক্টর, সোনাপুর ইউনিয়ন- ২৬৮০ হেক্টর, চাঁদপুর ইউনিয়ন -৩০৮০ হেক্টর, চাঁচড়া ইউনিয়ন -১৫৮০ হেক্টর, শম্ভুপুর ইউনিয়ন - ৪২৪০ হেক্টর, মোট আবাদ হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। আমন ফসল আবাদে উল্লেখ্যযোগ্য জাতসমূহ ব্রি-ধান-৫২, ৮৭, ৯৩, ৯৫, ৭২, ৭৬, ৭৭; বি- আর-১১, ২২, ২৩; বিনা-১৭, ২০, জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারায় তজুমদ্দিন উপজেলায় প্রায় ৭০ শতাংশ জমিতে ব্রি-ধান-৫২ জনপ্রিয় জাত।
গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে রোপা-আমন ধানের আবাদে। এ বছর ধানের দাম একটু ভালো থাকায় ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক কৃষক।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের কৃষক বশির মিয়া বলেন, গতবার ধানের দাম কম থাকলেও এ বছর দাম বেশি হবে বলে মনে করি। আমাদের বিলে বেশির ভাগ জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আমি এবার দেড় বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান করছি।
চাঁদপুর ইউনিয়নের চাষি কবির বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে রোপণ কাজ কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এবার নিজের দুই বিঘা জমির পাশাপাশি লিজ হিসেবে আরও এক বিঘা জমিতে ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, মাঠপর্যায়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তদারকি ও চাষিদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ কেজি বীজ ও ২০ কেজি সার ৭৮০ জন কৃষকের মাঝে আমন প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা বর্তমান পুরোদমে আমন ধানের চারা লাগানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া বর্তমান অনুকূলে রয়েছে। আশা করি বোরোর মতোই আমনেরও বাম্পার ফলন হবে।
মন্তব্য করুন