নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঈদের জামাতের দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম না নেওয়ায় ইমামকে হুমকি

যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল। ছবি : সংগৃহীত
যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল। ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সদরে ঈদের জামাত শেষে দোয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ইমামকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা সৈকত হাসানের বিরুদ্ধে। তিনি ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার কাশীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় জামাত শেষে এ ঘটনা ঘটে। ওই জামাতের ইমামতি করেন চরকাশীপুরের আঞ্জুবাহার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী ওই ইমাম ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে ‘হেনস্থা ও তার চাকরিচ্যুত করার কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, 'ঈদের দিনে ঈদগাহ থেকে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরলাম...’ এরপর তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে স্থানীয় এক যুবদল নেতা ইকবাল তার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক কালবেলাকে বলেন, পৌনে ৮টার দিকে কাশীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়৷ নামাজ শুরুর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া করতে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু আমি দোয়ায় অসুস্থ সবার আরোগ্য কামনা করেছি, তবে বিশেষ কারও নাম উল্লেখ করেনি৷ কারণ এটি আম-মজলিস। এখানে সব দলের লোকই আছে। তাই বিতর্ক এড়াতে নির্দিষ্ট দলের কারও নাম উল্লেখ করা উচিত হবে না ভেবেই তা করিনি৷ তাছাড়া, উনি (খালেদা জিয়া) রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদেও নেই, সুতরাং তার নাম উল্লেখে কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই৷

তিনি বলেন, নামাজ শেষে উঠে আসার সময় যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল আমাকে রীতিমত জেরা করে। দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও আমার চাকরি খেয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। এছাড়া তিনি দেখে নিবেন বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি আমার সংগঠনের ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। বিকেলে এ বিষয়ে মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল বলেন, তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি এবং চাকরি খাওয়ার কথাও বলিনি। আমি শুধু তাকে বলেছি, অনুরোধ করার পরও কেন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করে দোয়া করলেন না। উনি আমাকে এর জবাবে বলেন, তিনি এই নাম উল্লেখ করতে বাধ্য নন। তখন আমি তাকে আরও জিজ্ঞেস করি, ‘আপনি কোথায় চাকরি করেন।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সীমান্ত দিয়ে ৯ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের

আন্দোলনের একপর্যায়ে ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতিতে চলে যাই : নাহিদ ইসলাম

স্বামীকে রাতভর নির্যাতনের পর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

বিপিএল নিয়ে অবশেষে বড় ঘোষণা

কমলো সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার, আজ থেকে কার্যকর

৫ দিনেও হয়নি সেই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা

যুদ্ধবিরতির পর নিহতের নতুন সংখ্যা জানাল ইরান

সিটিকে বিদায় করে ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের বড় অঘটন

ডেঙ্গু জ্বর: কিছু তথ্য

এইচএসসিতে প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

১০

জুলাই অভ‍্যুত্থান : মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

১১

৪৪তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম ফরহাদ

১২

‘দুঃখিত, এবার আর তা হবে না’

১৩

‘কূটনীতির দরজা কখনো পুরোপুরি বন্ধ হয় না’

১৪

তেলের দামে বড় পতনের আভাস

১৫

এসএসসি পাসেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি

১৬

৩২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বাবা-ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৭

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি / রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রসমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা

১৮

ইরানের কমান্ডার কানি গুপ্তচর কি না, জানাল মোসাদ

১৯

যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি

২০
X