রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নেকশার আলী (৩৫) নামের এই ব্যক্তি মারা যান। নিহত নেকশার আলী তানোরের রাতৈল গ্রামের বাসিন্দা।

তানোরের চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের অনুসারী ছিলেন নেকশার। গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মফিজ উদ্দিনের অনুসারিদের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি আজাদ আলীর অনুসারিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মফিজের পক্ষের ছয়জন ও আজাদের পক্ষের নয়জন আহত হয়েছিলেন।

সেদিন মফিজের অনুসারিরা রাতৈল বাজারে মুদি দোকানি দুরুল হুদার দোকানে হামলা চালান। লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয় দোকানে। দুরুল হুদা ও তার ছেলে মিনু আহত হয়েছিলেন। এছাড়া আজাদের অনুসারি ইউনিয়ন বিএনপির মো. রনিও আহত হয়েছিলেন।

২৮ মার্চ রনি বলেছিলেন, আগের দিন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন তার বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেন। এতে অংশ নেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। এই ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য মুদি দোকানি দুরুলের কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন মফিজ। চাঁদা না দেওয়ার কারণে ইফতারের পর তার দোকানে হামলা হয়। এ সময় তারা বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সেদিন সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেছিলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা না। বিএমডিএর ডিপ নিয়ে গণ্ডগোল। আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ঘটনা। আমি ওই এলাকায় দুই বছর ধরে যাইনি। আমার কোনো লোকও মারামারিতে যায়নি।’

তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনার পর দুপক্ষই থানায় দুটি মামলা করেছিল। একপক্ষের একজন মঙ্গলবার বিকেলে মারা গেছে। আগে করা মারামারির মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

এর আগে গত ১১ মার্চ তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপি ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। আর প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান। সেদিন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোমিনুল হকের অনুসারীরা প্রধান অতিথিকে বরণ করতে চাইলে বাধা দেন বর্তমান সভাপতি মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা।

তখন দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোমিনুল হকের ছোট ভাই গানিউল ইসলাম আহত হন। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুজিবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ঘটনার পর জেলা বিএনপি তানোরে ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন না করার নির্দেশনা দেন। তারপরও ইফতার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তানোরে আরও এক ব্যক্তির প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রাক্তনের পাশে বসে বর্তমান প্রেমিকার নামে পূজা

৫ আগস্টের পর থেকে অপুর সঙ্গে যোগাযোগ নেই : উপদেষ্টা আসিফ

কক্সবাজার ইস্যুতে ‘গরম’ ছিল এনসিপির সাধারণ সভা 

সিলেটে পাথর লুটের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

‘মৃত ভোটারদের’ সঙ্গে চা পান করলেন রাহুল গান্ধী

টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস, সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

সাঈদীকে নিয়ে জামায়াত আমিরের বিবৃতি

ট্রেন আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার প্রশ্ন

গাজীপুরে এক বছরে বন্ধ ১০৬ কারখানা, অপরাধে জড়াচ্ছেন বেকার শ্রমিকরা

১০

সুপার কাপে নাটকীয় জয়ের পরও হতাশ পিএসজি কোচ

১১

ভারত যেন মুখোমুখি না হয় পাকিস্তানের—সাবেক পাক ক্রিকেটারের প্রার্থনা

১২

প্রধান বিচারপতির বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত

১৩

রাশিয়া / উদ্যান রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয়রা

১৪

হলিউডে অভিনয় করবেন জাহিদ হাসান?

১৫

সেপটিক ট্যাংকের শাটার খুলতে গিয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

১৬

দুদকের অভিযানের পরে নড়েচড়ে বসেছে সিলেটের প্রশাসন

১৭

‘অপুকে নির্যাতন করে উপদেষ্টার নাম বলানো হয়েছে’

১৮

হাসপাতালে হিরো আলম

১৯

‘আসছে পানি ভাসছে মানুষ’, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

২০
X