কালবেলা অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কাশীরাম আলিম মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রাশেদা বেগমের আলিম পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম।
এর আগে উপজেলার কশীরাম আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাশেদা পরীক্ষার ফরম পূরণ করলেও প্রবেশপত্র নিতে এসে দেখেন তার ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়নি। পারিবারিক শত্রুতায় অত্র মাদ্রাসার অফিস সহকারী চাচা রফিকুল ইসলামের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটে। পরে ‘চাচার আক্রোশে পরীক্ষা বন্ধ ভাতিজির!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে কালবেলা অনলাইন। সংবাদ প্রকাশের পরেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে নজরে আসে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে লালমনিরহাটের কাশীরাম আলিম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম ভুক্তভোগী ছাত্রী ও ছাত্রীর মাকে ডেকে নেন। পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
পরিবারের অভিযোগ, চাচা মাদ্রাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তাদের মামলা চলছে। তাই প্রতিহিংসার কারণে তিনি রাশেদার ফরম পূরণ করে দেননি। যদিও রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম জানান, ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পরীক্ষার্থী রাশেদার ফরম পূরণ করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট থেকে আলিম পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে ১৭ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত হওয়া চারটি পরীক্ষা নতুন সূচিতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাশেদার পরীক্ষায় অংশ নিতে সমস্যা হবে না।
রাশেদা বেগম জানান, আমি পরীক্ষা দিতে পারব, তা কখনও ভাবতে পারিনি। ভেবেছিলাম এ বছর আর পরীক্ষা দেওয়া হবে না। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
মন্তব্য করুন